ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বরিশালের মাদ্রাসা পরিচালক এর বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ (!) রয়েছে খাস কামরাও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের পলাশপুর ৫ নং ওয়ার্ডের ৮নং গুচ্ছ গ্রামের ” পলাশপুর জামিয়া ইসলামিয়া দারুম নাজাত ক্বওমী মাদ্রাসা “র পরিচালক পাথরঘাটা কাকচিরার বাইন চুটকি গ্রামের সোরাপ খানের পুত্র মো. মনির এর বিরুদ্ধে গুরুতর বেশ কিছু আপত্তিকর অভিযোগ তুলেছেন তার শশুর আব্দুস সবুর সাংবাদিকদের ডেকে অভিযোগ করে বলেন ” আমার মেয়ে “রিদিমা” (ছদ্মনাম) কে মাত্র ১৩ বছর প্রায় বয়স তখন বিভিন্ন ছলনা করে ব্যাভিচার করে এবং আমার স্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে আমাকে জানান। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে কোরআন শপথ করে ভাল হয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথিত বিয়ে সম্পন্ন করে। যেহেতু মেয়ে নাবালিকা, বিয়েও আইনিভাবে না দিয়েই শুধু ইসলামিকভাবে বিয়ের রীতি সম্পন্ন করি। শর্ত ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সে মেয়ের কাছে আসবেনা।অথচ সে শর্ত ভেঙ্গে নাবালিকার কাছে প্রতিনিয়ত আসতো এবং আমাদেরকেও চাপ দিত স্ত্রীর সাথে থাকার ব্যাবস্থা করে দিতে। ধীরে ধীরে সে বদলাতে থাকে এবং আরও কয়েকজনের সাথে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এরকম ২ বার মাদ্রাসার মধ্যেই সে ব্যাভিচারে লিপ্ত হলে প্রমাণ পেয়ে আমি ও আমার মেয়ে, পরিবার সরে পড়তে সিদ্ধান্ত নেই।তবুও তার হাত থেকে বাঁচতে পারছিনা। এই লম্পট ইসলামের কোন ধার ধারেনা। সে তার খাস কামরায় অবৈধভাবে ব্যাভিচার ও বলাৎকারে লিপ্ত থাকতো। আমার মেয়ে তা সব জেনেছে এবং প্রমানও রয়েছে। এসব দেখে শুনে আমি মেযেকে তার কাছে আর না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অথচ আজ কোর্টে সে আমাকে মারধর করে এবং ঘরে এসে সোনা গহনা, টাকা লুট করে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

সরজমিনে সাংবাদিকরা গেলে শশুরের সেই খাস কামরার দেখা মেলে। খাস কামরায় ঘটা সকল অপকর্মের সাক্ষী হিসেবে একাধিক সাধারণ মানুষ কথা বলেন। একইসাথে পরিচালক বাল্য বিয়ের কথা ও অবৈধ সংসার এর কথাও স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে মো. মনির বলেন” সুমাইয়ার ধর্ষণ এর কথা সাবেক কাউন্সিলর মাইনুলের সামনে স্বীকার করেছিল যে আমি ধর্ষণ করছি,তবে তা সুমাইয়া মিথ্যা বলছে। আর এছাড়া বলাৎকার এর ঘটনা সত্য ছিলনা। ”

এছাড়াও আরও যে সব গালি ও শব্দ উচ্চারণ করেছে মনির তা পত্রিকাতে লেখার কোন ভাষা নেই। (এ সব কিছুরই উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে)

এছাড়াও সি এন্ডবি রোড ১ নং সংলগ্ন মসজিদের পূর্বপাশে একটি মাদ্রাসারও পরিচালক তিনি এবং সেখানেও রয়েছে বলাৎকারের ঘটনার রফাদফার কিসসা।

ব্যাভীচারের অভিযুক্ত পরিচালক মো. মনির এর হিসেব অনুযায়ী তার পিতা সোরাফ খান কোটিপতি। এবং মনিরের শশুরের ( আব্দুস সবুরের) দালান ও বর্তমান মাদ্রাসা সব মিলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করেন তিনি। হঠাৎ ভিক্ষা বাণিজ্য থেকে কোটিপতি পরিবার হওয়ার রসহ্য জানা যায়নি এখনও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বরিশালের মাদ্রাসা পরিচালক এর বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ (!) রয়েছে খাস কামরাও

আপডেট সময় : ১২:২৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের পলাশপুর ৫ নং ওয়ার্ডের ৮নং গুচ্ছ গ্রামের ” পলাশপুর জামিয়া ইসলামিয়া দারুম নাজাত ক্বওমী মাদ্রাসা “র পরিচালক পাথরঘাটা কাকচিরার বাইন চুটকি গ্রামের সোরাপ খানের পুত্র মো. মনির এর বিরুদ্ধে গুরুতর বেশ কিছু আপত্তিকর অভিযোগ তুলেছেন তার শশুর আব্দুস সবুর সাংবাদিকদের ডেকে অভিযোগ করে বলেন ” আমার মেয়ে “রিদিমা” (ছদ্মনাম) কে মাত্র ১৩ বছর প্রায় বয়স তখন বিভিন্ন ছলনা করে ব্যাভিচার করে এবং আমার স্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে আমাকে জানান। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে কোরআন শপথ করে ভাল হয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথিত বিয়ে সম্পন্ন করে। যেহেতু মেয়ে নাবালিকা, বিয়েও আইনিভাবে না দিয়েই শুধু ইসলামিকভাবে বিয়ের রীতি সম্পন্ন করি। শর্ত ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সে মেয়ের কাছে আসবেনা।অথচ সে শর্ত ভেঙ্গে নাবালিকার কাছে প্রতিনিয়ত আসতো এবং আমাদেরকেও চাপ দিত স্ত্রীর সাথে থাকার ব্যাবস্থা করে দিতে। ধীরে ধীরে সে বদলাতে থাকে এবং আরও কয়েকজনের সাথে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। এরকম ২ বার মাদ্রাসার মধ্যেই সে ব্যাভিচারে লিপ্ত হলে প্রমাণ পেয়ে আমি ও আমার মেয়ে, পরিবার সরে পড়তে সিদ্ধান্ত নেই।তবুও তার হাত থেকে বাঁচতে পারছিনা। এই লম্পট ইসলামের কোন ধার ধারেনা। সে তার খাস কামরায় অবৈধভাবে ব্যাভিচার ও বলাৎকারে লিপ্ত থাকতো। আমার মেয়ে তা সব জেনেছে এবং প্রমানও রয়েছে। এসব দেখে শুনে আমি মেযেকে তার কাছে আর না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অথচ আজ কোর্টে সে আমাকে মারধর করে এবং ঘরে এসে সোনা গহনা, টাকা লুট করে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।”

সরজমিনে সাংবাদিকরা গেলে শশুরের সেই খাস কামরার দেখা মেলে। খাস কামরায় ঘটা সকল অপকর্মের সাক্ষী হিসেবে একাধিক সাধারণ মানুষ কথা বলেন। একইসাথে পরিচালক বাল্য বিয়ের কথা ও অবৈধ সংসার এর কথাও স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে মো. মনির বলেন” সুমাইয়ার ধর্ষণ এর কথা সাবেক কাউন্সিলর মাইনুলের সামনে স্বীকার করেছিল যে আমি ধর্ষণ করছি,তবে তা সুমাইয়া মিথ্যা বলছে। আর এছাড়া বলাৎকার এর ঘটনা সত্য ছিলনা। ”

এছাড়াও আরও যে সব গালি ও শব্দ উচ্চারণ করেছে মনির তা পত্রিকাতে লেখার কোন ভাষা নেই। (এ সব কিছুরই উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে)

এছাড়াও সি এন্ডবি রোড ১ নং সংলগ্ন মসজিদের পূর্বপাশে একটি মাদ্রাসারও পরিচালক তিনি এবং সেখানেও রয়েছে বলাৎকারের ঘটনার রফাদফার কিসসা।

ব্যাভীচারের অভিযুক্ত পরিচালক মো. মনির এর হিসেব অনুযায়ী তার পিতা সোরাফ খান কোটিপতি। এবং মনিরের শশুরের ( আব্দুস সবুরের) দালান ও বর্তমান মাদ্রাসা সব মিলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করেন তিনি। হঠাৎ ভিক্ষা বাণিজ্য থেকে কোটিপতি পরিবার হওয়ার রসহ্য জানা যায়নি এখনও।