ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সত্যিকার অনলাইনকে সহসাই নিবন্ধন : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
নিবন্ধন পেতে আট হাজারেরও বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদন করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনব।’

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্যঅধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসি সম্মেলনে নিউ মিডিয়া এবং এর চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয় সেখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সব অনলাইনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আজ (১৫ জুলাই) দরখাস্ত করার শেষ দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক সে প্রসঙ্গটুকু অবশ্যই আসে। আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো আসলে প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা করার সক্ষমতা রাখে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনব। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে। আমরা আশা করছি যখন এ নিবন্ধনটা হবে সেখানে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’

অনলাইন নিবন্ধনের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কতদিন লাগবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আট হাজার তো, যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব, যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই এই নিবন্ধনের আওতায় আনব। যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।’

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আট হাজার আবেদন যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য কেমন হওয়া দরকার সেটা আপনারাই বলুন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিউ মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সোশ্যাল মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নয়, এটি পুরো পৃথিবীতেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, নর্থ আমেরিকসহ সব দেশেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি।’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণ পাচ্ছে, সেটি হচ্ছে আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি। এটি যেমন মানুষের জন্য সুযোগকে অবারিত করেছে একই সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দাঁড় করিয়েছে। সেগুলো সমন্বিতভাবেই আমাদের মোকাবেলা করতে হবে এবং এই সুযোগটিকেও আমাদের অবারিত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি প্রসঙ্গ এসেছে জেলায় জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ করা। তথ্য ভবনের সাথে যাতে একটি মিলনায়তন থাকে, যেখানে অনুষ্ঠান করা যাবে, সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি, ২৭টি জেলায় কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আমরা সব জেলায় করতে চাই, এজন্য ডিসি মহোদয়দের স্থান নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আরেকটি প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যে আইন সেই আইন বাস্তবায়নে ক’দিন আগে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। টেলিভিশনের ক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে বিশৃঙ্খলা ছিল, বাংলাদেশে চ্যানেলের মধ্যে হঠাৎ করে বিদেশি চ্যানেল ঢুকে যেতে। কেবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদের সাথে সম্পর্কের আলোকে বা অন্য কোনো বিষয়ের আলোকে সিরিয়াল নির্ধারিত হতো। এখন সেখানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্কের অনিয়ম দূর করতে যে আইনের প্রয়োগ চলছে তা চলবে বলে ডিসিদের জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এর যাতে অপব্যবহার না হয় সে জন্য আমরা আলোচনা করেছি।’

এই অধিবেশনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সত্যিকার অনলাইনকে সহসাই নিবন্ধন : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:২৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
নিবন্ধন পেতে আট হাজারেরও বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদন করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনব।’

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্যঅধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসি সম্মেলনে নিউ মিডিয়া এবং এর চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয় সেখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সব অনলাইনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আজ (১৫ জুলাই) দরখাস্ত করার শেষ দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক সে প্রসঙ্গটুকু অবশ্যই আসে। আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো আসলে প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা করার সক্ষমতা রাখে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনব। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে। আমরা আশা করছি যখন এ নিবন্ধনটা হবে সেখানে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।’

অনলাইন নিবন্ধনের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কতদিন লাগবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আট হাজার তো, যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব, যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই এই নিবন্ধনের আওতায় আনব। যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।’

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আট হাজার আবেদন যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য কেমন হওয়া দরকার সেটা আপনারাই বলুন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিউ মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সোশ্যাল মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নয়, এটি পুরো পৃথিবীতেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, নর্থ আমেরিকসহ সব দেশেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি।’

‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণ পাচ্ছে, সেটি হচ্ছে আজকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি। এটি যেমন মানুষের জন্য সুযোগকে অবারিত করেছে একই সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দাঁড় করিয়েছে। সেগুলো সমন্বিতভাবেই আমাদের মোকাবেলা করতে হবে এবং এই সুযোগটিকেও আমাদের অবারিত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি প্রসঙ্গ এসেছে জেলায় জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ করা। তথ্য ভবনের সাথে যাতে একটি মিলনায়তন থাকে, যেখানে অনুষ্ঠান করা যাবে, সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি, ২৭টি জেলায় কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। আমরা সব জেলায় করতে চাই, এজন্য ডিসি মহোদয়দের স্থান নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আরেকটি প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যে আইন সেই আইন বাস্তবায়নে ক’দিন আগে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। টেলিভিশনের ক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে বিশৃঙ্খলা ছিল, বাংলাদেশে চ্যানেলের মধ্যে হঠাৎ করে বিদেশি চ্যানেল ঢুকে যেতে। কেবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদের সাথে সম্পর্কের আলোকে বা অন্য কোনো বিষয়ের আলোকে সিরিয়াল নির্ধারিত হতো। এখন সেখানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, ক্যাবল নেটওয়ার্কের অনিয়ম দূর করতে যে আইনের প্রয়োগ চলছে তা চলবে বলে ডিসিদের জানানো হয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এর যাতে অপব্যবহার না হয় সে জন্য আমরা আলোচনা করেছি।’

এই অধিবেশনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও অংশ নেন।