ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




 ভয়ংকর কিশোর গ্যাং

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর;  টঙ্গীতে নবম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদ (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পুসহ (১৭) চার কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হচ্ছে- টঙ্গী পাগার এলাকার কামাল পাঠানের বাড়ির ভাড়াটে মহিউদ্দিনের ছেলে মৃদুল হাসান পাপ্পু (১৭), একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৬), নূরুল ইসলাম খোকনের ছেলে রাব্বু হোসেন রিয়াদ (১৬) ও আলতাফ উদ্দিনের ছেলে নূর মোহাম্মদ রনি (১৬)।

র‌্যাব-১ এর গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৭ জুলাই গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বিসিক ফকির মার্কেট পাগার মদিনাপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় পাগার ফিউচার ম্যাপ স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদকে বুকে, পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহত শুভ আহমেদ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী উত্তরা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং গ্রুপ বিদ্যমান। এসব গ্যাং গ্রুপ তাদের দেয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত। সাধারণত উঠতি বয়সের কিশোররা এসব গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত। অভিভাবকের অবহেলা ও পশ্চিমা কালচারের অনুকরণে এসব গ্যাং গ্রুপ গড়ে উঠেছে। এসব গ্যাং গ্রুপের মধ্যে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। হত্যার এক দিন আটে ভিকটিমের সঙ্গে স্থানীয় নবগঠিত একটি গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।

উল্লেখ্য, নিহত স্কুলছাত্র শুভ আহমেদের বাবা-মা উভয়ই স্থানীয় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ভিকটিম শুভ তার মায়ের কাছ থেকে চুল কাটার জন্য টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গভীর রাতেও ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে টঙ্গী পাগার মদিনা পাড়াস্থ জনৈক স্বপনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশে খবর দেন। পরে থানায় গিয়ে স্বজনরা শুভর মরদেহ শনাক্ত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




 ভয়ংকর কিশোর গ্যাং

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর;  টঙ্গীতে নবম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদ (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পুসহ (১৭) চার কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হচ্ছে- টঙ্গী পাগার এলাকার কামাল পাঠানের বাড়ির ভাড়াটে মহিউদ্দিনের ছেলে মৃদুল হাসান পাপ্পু (১৭), একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ (১৬), নূরুল ইসলাম খোকনের ছেলে রাব্বু হোসেন রিয়াদ (১৬) ও আলতাফ উদ্দিনের ছেলে নূর মোহাম্মদ রনি (১৬)।

র‌্যাব-১ এর গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৭ জুলাই গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বিসিক ফকির মার্কেট পাগার মদিনাপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় পাগার ফিউচার ম্যাপ স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদকে বুকে, পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহত শুভ আহমেদ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।

ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী উত্তরা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং গ্রুপ বিদ্যমান। এসব গ্যাং গ্রুপ তাদের দেয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত। সাধারণত উঠতি বয়সের কিশোররা এসব গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িত। অভিভাবকের অবহেলা ও পশ্চিমা কালচারের অনুকরণে এসব গ্যাং গ্রুপ গড়ে উঠেছে। এসব গ্যাং গ্রুপের মধ্যে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। হত্যার এক দিন আটে ভিকটিমের সঙ্গে স্থানীয় নবগঠিত একটি গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।

উল্লেখ্য, নিহত স্কুলছাত্র শুভ আহমেদের বাবা-মা উভয়ই স্থানীয় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ভিকটিম শুভ তার মায়ের কাছ থেকে চুল কাটার জন্য টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গভীর রাতেও ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে টঙ্গী পাগার মদিনা পাড়াস্থ জনৈক স্বপনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশে খবর দেন। পরে থানায় গিয়ে স্বজনরা শুভর মরদেহ শনাক্ত করে।