ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




সরকারি চাকরিজীবীদের ঘুষ খাওয়ার কারন জানতে চান হাইকোর্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯ ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
সরকারি চাকরিজীবীদের ঘুষ নেয়া প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, বাড়িভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে। গাড়ি পেয়েছেন। তারপরও কেন ঘুষ খাবে? পাশাপাশি সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন আদালত। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা কী করেন? কীভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে? এটা নিয়ে কেন আদালতে আসতে হবে? আদালতকেই বা কেন আদেশ দিতে হবে?’

ঢাকাসহ সারাদেশে নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের তথ্য জানতে চেয়ে সোমবার (২৪ জুন) শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এদিন নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে এক মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে দেশের সকল জেলার তথ্য সংগ্রহ করে তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পুলিশের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

শুনানিতে আদালত বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৮ বৎসর। এমন একটি দেশ হবে যেখানে দুর্নীতি থাকবে না-এই চেতনা নিয়েই দেশ স্বাধীন করা হলো। অথচ দেশ এখনো শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর আমরা যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করি তাহলে চলবে কী করে। আমরা শুধুই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকব তাতো হয় না।’

সিঙ্গাপুরের প্রসঙ্গ টেনে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের কাছাকাছি সময়ে স্বাধীন হয়েছে সিঙ্গাপুর। সেই দেশটির দিকে তাকান। দেখুন সেখানে কী হয়েছে? আর আমাদের দেশে কী হচ্ছে? আমাদের এখানে গাড়ি ধাক্কায় এত মানুষ মারা যাবে কেন?’

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন আদালত। বলেন, সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। এখন বসে থাকার সময় নেই। দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’

গতকাল সোমবার বিআরটিএ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৭টি। যার মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরকারি চাকরিজীবীদের ঘুষ খাওয়ার কারন জানতে চান হাইকোর্ট

আপডেট সময় : ১০:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 
সরকারি চাকরিজীবীদের ঘুষ নেয়া প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, বাড়িভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে। গাড়ি পেয়েছেন। তারপরও কেন ঘুষ খাবে? পাশাপাশি সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন আদালত। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আপনারা কী করেন? কীভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলে? এটা নিয়ে কেন আদালতে আসতে হবে? আদালতকেই বা কেন আদেশ দিতে হবে?’

ঢাকাসহ সারাদেশে নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের তথ্য জানতে চেয়ে সোমবার (২৪ জুন) শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এদিন নিবন্ধিত ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে এক মাসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে দেশের সকল জেলার তথ্য সংগ্রহ করে তা জানানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৩ জুলাই পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পুলিশের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব।

শুনানিতে আদালত বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৮ বৎসর। এমন একটি দেশ হবে যেখানে দুর্নীতি থাকবে না-এই চেতনা নিয়েই দেশ স্বাধীন করা হলো। অথচ দেশ এখনো শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর আমরা যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করি তাহলে চলবে কী করে। আমরা শুধুই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকব তাতো হয় না।’

সিঙ্গাপুরের প্রসঙ্গ টেনে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের কাছাকাছি সময়ে স্বাধীন হয়েছে সিঙ্গাপুর। সেই দেশটির দিকে তাকান। দেখুন সেখানে কী হয়েছে? আর আমাদের দেশে কী হচ্ছে? আমাদের এখানে গাড়ি ধাক্কায় এত মানুষ মারা যাবে কেন?’

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন আদালত। বলেন, সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। এখন বসে থাকার সময় নেই। দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’

গতকাল সোমবার বিআরটিএ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৭টি। যার মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯টি।