ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




২০ বছর পর হাঁটতে শিখেছে শিশু চম্পা !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ৬২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
২০ বছর বয়স হলেও শিশুই রয়ে গেছে চম্পা। চার মাস আগেও চম্পার একমাত্র আশ্রয় ছিল বড় বোন ময়না ও মা মিনুয়ারার কোল। এখন সে হাঁটতে পারে। ঝিনাইদহ শহরের আলফালাহ হাসপাতালে ডা. অলোক কুমার সাহার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় চম্পা দুষ্টামি করাসহ মেঝেজুড়ে হাঁটাহাঁটি আর অন্য শিশুদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেড়াচ্ছে।

চার মাস আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০ বছর বয়সী শিশু চম্পার দুর্বিষহ জীবন কাটানোর খবর প্রকাশিত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা। ডাক্তারের ওষুধ সেবন করে চার মাসের মধ্যে কোল থেকে নেমে কেবল হাঁটা শিখেছে চম্পা।

২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন ‘শিশু’ কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারতো। বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোনো পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙ্গিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সে চম্পা মায়ের কোলে চেপে বসে থাকে।

এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির অপেক্ষা। চম্পা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাসেম আলী মোল্লার মেয়ে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। সে থাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত।

চম্পার মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটাতো। চার মাস চিকিৎসার পর এখন সে হাঁটতে পারছে।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, এ রোগটিকে বলে থাইরয়েডিজম। শিশুকাল থেকে চিকিৎসা করা হলে রোগটি ভালো হতো। কিন্তু এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

তিনি বলেন, থাইরয়েড পরীক্ষার পর এ রোগের চিকিৎসা শুরু করে চার মাসে চম্পা হাটতে শিখেছে। তিনি আরও বলেন, ২০ বছরের শিশু চম্পা আরও বড় হবে। তার বুদ্ধি বাড়বে। নিজের কাজ নিজে করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ বছর পর হাঁটতে শিখেছে শিশু চম্পা !

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
২০ বছর বয়স হলেও শিশুই রয়ে গেছে চম্পা। চার মাস আগেও চম্পার একমাত্র আশ্রয় ছিল বড় বোন ময়না ও মা মিনুয়ারার কোল। এখন সে হাঁটতে পারে। ঝিনাইদহ শহরের আলফালাহ হাসপাতালে ডা. অলোক কুমার সাহার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় চম্পা দুষ্টামি করাসহ মেঝেজুড়ে হাঁটাহাঁটি আর অন্য শিশুদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেড়াচ্ছে।

চার মাস আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০ বছর বয়সী শিশু চম্পার দুর্বিষহ জীবন কাটানোর খবর প্রকাশিত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা। ডাক্তারের ওষুধ সেবন করে চার মাসের মধ্যে কোল থেকে নেমে কেবল হাঁটা শিখেছে চম্পা।

২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন ‘শিশু’ কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারতো। বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোনো পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙ্গিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সে চম্পা মায়ের কোলে চেপে বসে থাকে।

এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির অপেক্ষা। চম্পা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাসেম আলী মোল্লার মেয়ে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। সে থাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত।

চম্পার মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটাতো। চার মাস চিকিৎসার পর এখন সে হাঁটতে পারছে।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, এ রোগটিকে বলে থাইরয়েডিজম। শিশুকাল থেকে চিকিৎসা করা হলে রোগটি ভালো হতো। কিন্তু এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

তিনি বলেন, থাইরয়েড পরীক্ষার পর এ রোগের চিকিৎসা শুরু করে চার মাসে চম্পা হাটতে শিখেছে। তিনি আরও বলেন, ২০ বছরের শিশু চম্পা আরও বড় হবে। তার বুদ্ধি বাড়বে। নিজের কাজ নিজে করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।