‘স্বাধীনতা এখনও সুসংহত হয়নি’
- আপডেট সময় : ০৪:১০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখনও সুসংহত হয়নি বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ডা. এস এ মালেক।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘যে মহান বিজয় এখনো সুসংহত হয়নি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. এস এ মালেক বলেন, স্বাধীনতা এখনও সুসংহত হয়নি। তার প্রমাণ এবারের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষের শক্তির অংশগ্রহণ। এর প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের অসচেতনতা। যারা দেশের অর্থনীতি রাজনীতিসহ সংবিধানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদের ভোট দেয়া সচেতন জনগণের পক্ষে আর সম্ভব নয়। দেশের ভালো ভবিষ্যত নির্ভর করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে। নির্বাচনের আগে এই ১৮ দিনে আমাদের ১৮ বছর চেয়েও বেশি কাজ করতে হবে নৌকার পক্ষে।
২০১৮ সালে এসে স্বাধীনতা সুসংহত হয়নি বলে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা দৃশ্যমান তা হলো, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর রাজনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পক ও নির্দেশক। বাংলাদেশের উন্নয়ন একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হওয়া সম্ভব।
ইতোমধ্যে তিনি তার আন্তরিকতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও দূরদৃষ্টি দিয়ে তার প্রমাণ করেছেন। সুতরাং জাতি হিসেবে ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যদি সত্যিই অগ্রসর জাতিরাষ্ট্রগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে চায় তাহলে বর্তমান বাস্তবতায় তার পক্ষে নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে বেছে নেয়ার বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একটি ভালো কাজ করেছেন। তা হলো, দেশের সকল রাজনৈতিক দল সংলাপে এসেছে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তবে তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির পক্ষ নিয়েছেন। এটা ন্যাক্কারজনক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী ক্যান্টনমেন্টে থাকতেন। যেখান থেকে তারা রাজনীতি পরিচালনা করতেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই অপরাজনীতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন।
তাই বর্তমানে আমাদের নিজ এলাকায় গিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানো উচিৎ। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তা কিংবা সরকারি কোনো কর্মকর্তা গ্রামে নিজ এলাকায় গেলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়ে। তাই নৌকার জয়ের ব্যাপারে আমাদের ব্যাপক অবদান রাখতে হবে।
ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. শহীদুল্লাহ, সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমদ অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন প্রমুখ।