ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ঢাকাই ছবিতে নায়ক-ভিলেন রসায়ন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;

শাকিব খান এবং মিশা সওদাগর। ঢাকাই সিনেমা ইতিহাসের নায়ক-ভিলেনের অন্যতম সেরা জুটি। যদিও ইলিয়াস কাঞ্চন, সালমান শাহ, মান্না, অমিত হাসান, ওমর সানীদের সঙ্গেও ভিলেনের রসায়নও ছিল।

কিন্তু শাকিব মিশার মতো এতটা গ্রহণযোগ্যতা কখনোই কোনো নায়ক-ভিলেনের ক্ষেত্রে তৈরি হয়নি। দর্শকরাও এ জুটিকে গ্রহণ করেছেন। সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে শাকিব ও মিশার রসায়ন শুরু হয় পর্দায়। এখন পর্যন্ত অনেক ছবিতে তারা নায়ক ও ভিলেন হিসেবে অভিনয় করেছেন। কথিত আছে, শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস জুটির চেয়েও ভিলেন-নায়কের এ জুটির দর্শকপ্রিয়তা বেশি। মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও চলছে শাকিব-মিশার দ্বৈত রসায়ন।

এমনিতে এ দুই অভিনেতার মধ্যে সম্পর্ক ভালো। মাঝে শিল্পী সমিতির নির্বাচন, চলচ্চিত্র পরিবার ও ফোরাম গঠনসহ নানাবিধ কারণে চলচ্চিত্র পরিবারকে সমর্থন দিতে গিয়ে শাকিবের সঙ্গে মিশার কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সার্বিক দিক বিবেচনায় ফের নিজেদের মধ্যে দূরত্ব গুছিয়ে নিয়েছেন এ দুই অভিনেতা।

এক্ষেত্রে মিশা সওদাগরই দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কারণ উপায়ও ছিল না। শাকিব খান ছাড়া অন্য কারও ছবিই চলছে না ইন্ডাস্ট্রিতে। তাই মিশাও অন্যদের সঙ্গে কাজ করে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। সর্বোপরি কাজই কমে যাচ্ছিল। তাই শাকিবের অভিমানের দূরত্ব কমিয়ে ফের নায়ক-ভিলেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে পর্দায়।

নায়ক-নায়িকার বাইরে এ নায়ক-ভিলেন জুটি কতটা দরকার সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে? বিষয়টি নিয়ে মিশা বলেন, ‘অবশ্যই দরকার আছে। দর্শকরা যেমন নায়কের হিরোগিরী দেখতে সিনেমা হলে যান, তেমনি নায়কের বিপক্ষে একজন দক্ষ ও শক্তিশালী ভিলেনকেও দেখতে পছন্দ করেন। কারণ পর্দায় এ দু’জনের দাপটই বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বলব, ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমি ও শাকিব দু’জনেই সফল।’

শাকিব খান প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘শাকিব যখন সিনেমাপাড়ায় ঘোরাফেরা করতেন, ছবিতে অভিনয় শুরু করেননি সেসময় থেকেই পরিচয় ওর সঙ্গে। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে আমাকে দিয়ে। আমরা অনেক ছবি করেছি একসঙ্গে। ও আমাকে বড় ভাই বলে, যথেষ্ট সম্মান করে। সেটা সিনেমার সেটে কিংবা বাইরে। আমিও শাকিবকে ভালোবাসি নিজের ছোট ভাইয়ের মতো। পর্দার চেয়ে বাস্তব জীবনে ওর সঙ্গে সম্পর্কটা গভীর আমার।’

মিশার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শাকিব খান বলেন, ‘উনি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এ মুহূর্তের একমাত্র খল চরিত্রের অভিনেতা। তার সঙ্গে যেসব ছবিতে অভিনয় করেছি, সবগুলো ছবিই ব্যবসাসফল বলা চলে। এমনিতে মিশা ভাই ভালো মানুষ। চেষ্টা করেন মিলেমিশে চলতে।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রশ্নে শাকিবের সঙ্গে মিশার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ভুল বলেই জানিয়েছেন মিশা। তিনি বলেন, ‘শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনোদিন সমস্যা হয়নি। তবে দেড় বছর ছবিতে ওর সঙ্গে করা হয়নি। কারণে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে একটু ঝামেলা হচ্ছিল। আমরা সবাই কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলাম। এমনকি শ্রী ভেঙ্কটেশ ও এসকে মুভিজ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমি ছবি করিনি। এছাড়া নির্বাচনের ব্যস্ততার সময় কিন্তু শাকিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল সর্বদা। একটা সত্যি যে সিনেমা ইন্ডাস্টি আমি আর শাকিব ধরে রেখেছি। এবং কাকরাইল পাড়াতে আমাদের নামে ছবি চলেছে।’

মিশার প্রতি শাকিবের কোনো ক্ষোভ আছে কী না এমন প্রশ্নে শাকিব বলেন, ‘ক্ষোভের কিছু নেই। প্রত্যেকেই পরিস্থিতির শিকার। অনেকেই না বুঝে তখন অনেক কিছু করেছেন। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবারও স্ব-স্ব কাজে ফিরে এসেছেন। পুরনো কথা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে প্রচুর ছবি দরকার। ভালো মানের ছবি। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।’

যে নির্বাচন নিয়ে শাকিব-মিশার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেই নির্বাচনে শাকিব খানের সঙ্গে প্যানেল করে নতুন নির্বাচন করবেন কী না এমন প্রশ্নে মিশা বলেন, ‘শাকিব আগে শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন আর আমি বর্তমান সভাপতি। এখন যদি প্যানেল করে নির্বাচন করি তাহলে দু’জনকেই সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। এক প্যানেল থেকে সেটা কী করে সম্ভব?’

তবে নির্বাচনের ব্যাপারে শাকিব খান এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঢাকাই ছবিতে নায়ক-ভিলেন রসায়ন

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;

শাকিব খান এবং মিশা সওদাগর। ঢাকাই সিনেমা ইতিহাসের নায়ক-ভিলেনের অন্যতম সেরা জুটি। যদিও ইলিয়াস কাঞ্চন, সালমান শাহ, মান্না, অমিত হাসান, ওমর সানীদের সঙ্গেও ভিলেনের রসায়নও ছিল।

কিন্তু শাকিব মিশার মতো এতটা গ্রহণযোগ্যতা কখনোই কোনো নায়ক-ভিলেনের ক্ষেত্রে তৈরি হয়নি। দর্শকরাও এ জুটিকে গ্রহণ করেছেন। সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’ দিয়ে শাকিব ও মিশার রসায়ন শুরু হয় পর্দায়। এখন পর্যন্ত অনেক ছবিতে তারা নায়ক ও ভিলেন হিসেবে অভিনয় করেছেন। কথিত আছে, শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাস জুটির চেয়েও ভিলেন-নায়কের এ জুটির দর্শকপ্রিয়তা বেশি। মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারও চলছে শাকিব-মিশার দ্বৈত রসায়ন।

এমনিতে এ দুই অভিনেতার মধ্যে সম্পর্ক ভালো। মাঝে শিল্পী সমিতির নির্বাচন, চলচ্চিত্র পরিবার ও ফোরাম গঠনসহ নানাবিধ কারণে চলচ্চিত্র পরিবারকে সমর্থন দিতে গিয়ে শাকিবের সঙ্গে মিশার কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের সার্বিক দিক বিবেচনায় ফের নিজেদের মধ্যে দূরত্ব গুছিয়ে নিয়েছেন এ দুই অভিনেতা।

এক্ষেত্রে মিশা সওদাগরই দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কারণ উপায়ও ছিল না। শাকিব খান ছাড়া অন্য কারও ছবিই চলছে না ইন্ডাস্ট্রিতে। তাই মিশাও অন্যদের সঙ্গে কাজ করে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। সর্বোপরি কাজই কমে যাচ্ছিল। তাই শাকিবের অভিমানের দূরত্ব কমিয়ে ফের নায়ক-ভিলেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে পর্দায়।

নায়ক-নায়িকার বাইরে এ নায়ক-ভিলেন জুটি কতটা দরকার সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে? বিষয়টি নিয়ে মিশা বলেন, ‘অবশ্যই দরকার আছে। দর্শকরা যেমন নায়কের হিরোগিরী দেখতে সিনেমা হলে যান, তেমনি নায়কের বিপক্ষে একজন দক্ষ ও শক্তিশালী ভিলেনকেও দেখতে পছন্দ করেন। কারণ পর্দায় এ দু’জনের দাপটই বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে বলব, ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমি ও শাকিব দু’জনেই সফল।’

শাকিব খান প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘শাকিব যখন সিনেমাপাড়ায় ঘোরাফেরা করতেন, ছবিতে অভিনয় শুরু করেননি সেসময় থেকেই পরিচয় ওর সঙ্গে। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে আমাকে দিয়ে। আমরা অনেক ছবি করেছি একসঙ্গে। ও আমাকে বড় ভাই বলে, যথেষ্ট সম্মান করে। সেটা সিনেমার সেটে কিংবা বাইরে। আমিও শাকিবকে ভালোবাসি নিজের ছোট ভাইয়ের মতো। পর্দার চেয়ে বাস্তব জীবনে ওর সঙ্গে সম্পর্কটা গভীর আমার।’

মিশার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শাকিব খান বলেন, ‘উনি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এ মুহূর্তের একমাত্র খল চরিত্রের অভিনেতা। তার সঙ্গে যেসব ছবিতে অভিনয় করেছি, সবগুলো ছবিই ব্যবসাসফল বলা চলে। এমনিতে মিশা ভাই ভালো মানুষ। চেষ্টা করেন মিলেমিশে চলতে।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রশ্নে শাকিবের সঙ্গে মিশার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ভুল বলেই জানিয়েছেন মিশা। তিনি বলেন, ‘শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনোদিন সমস্যা হয়নি। তবে দেড় বছর ছবিতে ওর সঙ্গে করা হয়নি। কারণে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে একটু ঝামেলা হচ্ছিল। আমরা সবাই কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলাম। এমনকি শ্রী ভেঙ্কটেশ ও এসকে মুভিজ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু আমি ছবি করিনি। এছাড়া নির্বাচনের ব্যস্ততার সময় কিন্তু শাকিবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল সর্বদা। একটা সত্যি যে সিনেমা ইন্ডাস্টি আমি আর শাকিব ধরে রেখেছি। এবং কাকরাইল পাড়াতে আমাদের নামে ছবি চলেছে।’

মিশার প্রতি শাকিবের কোনো ক্ষোভ আছে কী না এমন প্রশ্নে শাকিব বলেন, ‘ক্ষোভের কিছু নেই। প্রত্যেকেই পরিস্থিতির শিকার। অনেকেই না বুঝে তখন অনেক কিছু করেছেন। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবারও স্ব-স্ব কাজে ফিরে এসেছেন। পুরনো কথা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে প্রচুর ছবি দরকার। ভালো মানের ছবি। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।’

যে নির্বাচন নিয়ে শাকিব-মিশার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সেই নির্বাচনে শাকিব খানের সঙ্গে প্যানেল করে নতুন নির্বাচন করবেন কী না এমন প্রশ্নে মিশা বলেন, ‘শাকিব আগে শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন আর আমি বর্তমান সভাপতি। এখন যদি প্যানেল করে নির্বাচন করি তাহলে দু’জনকেই সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হবে। এক প্যানেল থেকে সেটা কী করে সম্ভব?’

তবে নির্বাচনের ব্যাপারে শাকিব খান এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।