ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: নিহতদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯ ৮১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
ভূমধ্যসাগরে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনায় ৬৫ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা জানাতে পারেনি। তবে প্রাণ হারানো শরণার্থীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএপি’র খবর অনুযায়ী ডুবে যাওয়া নৌকায় ৭০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল। সি ফ্যাক্স উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এটি ডুবে যায়। দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্মান্তিক ওই নৌকাডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি মাছ ধরার নৌযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তিউনিস নৌবাহিনী। তারা জীবিতদের পাশাপাশি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম নৌকাডুবির এই ঘটনাকে ভূমধ্য সাগরের ‘আরেকটি বিয়োগান্তক ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, জাহাজটি পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ছেড়ে এসেছিল। সম্প্রতি সে দেশে সংঘাত জোরালো হয়েছে। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে লিবীয় ছাড়াও বাংলাদেশ এবং মরক্কোর নাগরিকেরা ছিল। তবে নৌকাটিতে ঠিক কতজন বাংলাদেশি বা কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিল তা জানা যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাডুবির শিকার যাত্রীরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

ভূমধ্যসাগরের ভয়ঙ্কর এ পথটিতে প্রায় সময়ই শরণার্থীসহ নৌকাডুবির খবর পাওয়া যায়। এদিক দিয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা নৌকাযোগে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। ইউএনএইচসিআরের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। কেবল গত জানুয়ারি মাসের এক নৌকাডুবির ঘটনাতেই ১১৭ জন নিঁখোজ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: নিহতদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি

আপডেট সময় : ০১:২২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
ভূমধ্যসাগরে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে। তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে এ দুর্ঘটনায় ৬৫ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৬ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে তারা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা জানাতে পারেনি। তবে প্রাণ হারানো শরণার্থীদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, জীবিত উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি।

তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএপি’র খবর অনুযায়ী ডুবে যাওয়া নৌকায় ৭০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল। সি ফ্যাক্স উপকূলের ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এটি ডুবে যায়। দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মর্মান্তিক ওই নৌকাডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারে একটি মাছ ধরার নৌযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তিউনিস নৌবাহিনী। তারা জীবিতদের পাশাপাশি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম নৌকাডুবির এই ঘটনাকে ভূমধ্য সাগরের ‘আরেকটি বিয়োগান্তক ঘটনা’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, জাহাজটি পার্শ্ববর্তী দেশ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ছেড়ে এসেছিল। সম্প্রতি সে দেশে সংঘাত জোরালো হয়েছে। সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে লিবীয় ছাড়াও বাংলাদেশ এবং মরক্কোর নাগরিকেরা ছিল। তবে নৌকাটিতে ঠিক কতজন বাংলাদেশি বা কোন দেশের কতজন নাগরিক ছিল তা জানা যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাডুবির শিকার যাত্রীরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

ভূমধ্যসাগরের ভয়ঙ্কর এ পথটিতে প্রায় সময়ই শরণার্থীসহ নৌকাডুবির খবর পাওয়া যায়। এদিক দিয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা নৌকাযোগে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। ইউএনএইচসিআরের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে ১৬৪ জন নিহত হয়েছে। কেবল গত জানুয়ারি মাসের এক নৌকাডুবির ঘটনাতেই ১১৭ জন নিঁখোজ হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।