ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯ ১২০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট;
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রোগীর বিছানা, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপাত হতে হবে ১:৩।

অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৩ লাখ নার্সের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন ৪৬ হাজারের সামান্য কিছু বেশি।

যার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন প্রায় ২৮ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোয় নিবন্ধিত নার্সের পাশাপাশি অনেক অনিবন্ধিত নার্সও সেবা দিয়ে থাকেন।

ফলে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং দায়িত্বপ্রবণ হলে বর্তমানে নিযুক্ত নার্স দিয়ে আরও ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ও নার্সিং কাউন্সিলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নার্সিং পেশার উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ-স্বানাপের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে নার্সিং পেশা ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে নার্স এবং রোগী উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নার্সিং পেশায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, আনুপাতিক হারে নার্সের সংখ্যা কম হলেও নার্স নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু দেশে রোগী, হাসপাতাল ও চিকিৎসক বাড়ার কারণে নার্সের সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। তবে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ৬২টি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি নার্স নার্সিং কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

আপডেট সময় : ১০:২০:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট;
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রোগীর বিছানা, চিকিৎসক এবং নার্সের অনুপাত হতে হবে ১:৩।

অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। সেই হিসাবে দেশে প্রায় ৩ লাখ নার্সের প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন ৪৬ হাজারের সামান্য কিছু বেশি।

যার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন প্রায় ২৮ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোয় নিবন্ধিত নার্সের পাশাপাশি অনেক অনিবন্ধিত নার্সও সেবা দিয়ে থাকেন।

ফলে রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং দায়িত্বপ্রবণ হলে বর্তমানে নিযুক্ত নার্স দিয়ে আরও ভালো সেবা পাওয়া সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ও নার্সিং কাউন্সিলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নার্সিং পেশার উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না।

স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ-স্বানাপের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণে নার্সিং পেশা ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে নার্স এবং রোগী উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নার্সিং পেশায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, আনুপাতিক হারে নার্সের সংখ্যা কম হলেও নার্স নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু দেশে রোগী, হাসপাতাল ও চিকিৎসক বাড়ার কারণে নার্সের সংখ্যা কম মনে হচ্ছে। তবে ৫ হাজার নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করছি এ সমস্যার সমাধান হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকারি ৬২টি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ২১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে ৫ হাজার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১১ হাজারের বেশি নার্স নার্সিং কাউন্সিল থেকে সনদপ্রাপ্ত হন।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস।