ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ইয়াবা পাচার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
এএসআই সেজে ইয়াবা পাচার করার সময় রাজধানীর আরামবাগ থেকে মাহফুজুর রহমান নামে পুলিশের এক বহিস্কৃত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে দেশ ট্রাভেলসের বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-২ এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল মালিকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রেফতারকৃত মাহফুজুর রহমানের বাড়ি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার পশ্চিম সোনাডাঙ্গায়।

২০১৬ সালে খুলনা মেট্রোপলিটনের সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকাকালে এক মামলার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব -২ এর একটি দল রাজধানীর আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে কক্সবাজার থেকে দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে তল্লাশি চালায়। পুলিশের ইউনিফর্মে এএসআই এর র‌্যাংক ব্যাজ পরা যাত্রীকে চাকরিস্থল ও আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি চট্টগ্রামে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য গিয়েছেন এবং তার পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বলে জানান।

এ সময় দায়িত্বরত কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী তার নাম ও পদবী জানতে চান। এ সময় নিজের নাম বলেন মাহফুজুর রহমান এবং পদবী এএসআই বলে দাবি করেন। কিন্তু তার গলায় ঝুলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার পদবী কনস্টেবল। এছাড়া তার জন্ম তারিখ, পুলিশের বিপি নাম্বার ও পরিহিত ইউনিফর্মের সঙ্গে মিল না পেয়ে তাকে তল্লাশি করবেন জানান কোম্পানি কমান্ডার।

এক পর্যায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা মাহফুজুর রহমান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লে কোম্পানি কমান্ডার তার কোলের ওপর থাকা ব্যাগ তল্লাশি পরিচয়পত্রের আরও একটি ফটোকপি দেখতে পান। এএসআই পদবীর লোকটির কনস্টেবল পদের আরেকটি আইডি কার্ড দেখে তিনি সাক্ষী ও স্থানীয় মতিঝিল থানা পুলিশের সদস্যদের সামনে ব্যাগটি তল্লাশি করে তার ব্যাগ হতে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এএসআই মাহফুজুর রহমান জানান, তিনি একজন বহিস্কৃত পুলিশ সদস্য। ২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তিনি জেলে যান এবং চাকরিচ্যুত হন।

তিনি আরও জানান, জেল থেকে বের হবার পর থেকে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। প্রতি মাসে ২-৩ বার করে তিনি কক্সবাজার গিয়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ইয়াবা পাচার

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;
এএসআই সেজে ইয়াবা পাচার করার সময় রাজধানীর আরামবাগ থেকে মাহফুজুর রহমান নামে পুলিশের এক বহিস্কৃত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে দেশ ট্রাভেলসের বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-২ এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল মালিকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রেফতারকৃত মাহফুজুর রহমানের বাড়ি খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার পশ্চিম সোনাডাঙ্গায়।

২০১৬ সালে খুলনা মেট্রোপলিটনের সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকাকালে এক মামলার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব -২ এর একটি দল রাজধানীর আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে কক্সবাজার থেকে দেশ ট্রাভেলসের একটি বাসে তল্লাশি চালায়। পুলিশের ইউনিফর্মে এএসআই এর র‌্যাংক ব্যাজ পরা যাত্রীকে চাকরিস্থল ও আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি চট্টগ্রামে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য গিয়েছেন এবং তার পোস্টিং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বলে জানান।

এ সময় দায়িত্বরত কোম্পানি কমান্ডার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী তার নাম ও পদবী জানতে চান। এ সময় নিজের নাম বলেন মাহফুজুর রহমান এবং পদবী এএসআই বলে দাবি করেন। কিন্তু তার গলায় ঝুলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার পদবী কনস্টেবল। এছাড়া তার জন্ম তারিখ, পুলিশের বিপি নাম্বার ও পরিহিত ইউনিফর্মের সঙ্গে মিল না পেয়ে তাকে তল্লাশি করবেন জানান কোম্পানি কমান্ডার।

এক পর্যায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা মাহফুজুর রহমান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লে কোম্পানি কমান্ডার তার কোলের ওপর থাকা ব্যাগ তল্লাশি পরিচয়পত্রের আরও একটি ফটোকপি দেখতে পান। এএসআই পদবীর লোকটির কনস্টেবল পদের আরেকটি আইডি কার্ড দেখে তিনি সাক্ষী ও স্থানীয় মতিঝিল থানা পুলিশের সদস্যদের সামনে ব্যাগটি তল্লাশি করে তার ব্যাগ হতে ১০ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এএসআই মাহফুজুর রহমান জানান, তিনি একজন বহিস্কৃত পুলিশ সদস্য। ২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তিনি জেলে যান এবং চাকরিচ্যুত হন।

তিনি আরও জানান, জেল থেকে বের হবার পর থেকে তিনি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। প্রতি মাসে ২-৩ বার করে তিনি কক্সবাজার গিয়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে বড় বড় মাদকের চালান নিয়ে আসেন।