ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




মাদক বিরোধী মানববন্ধনে মাদক ব্যবসায়ীরা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

জি রহমান; সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মোহাম্মাদপুর জেনেভাক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকখ্যাত মোল্লা বশিরের বাসায় পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মোল্লা বশির ঐ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়িদের পৃষ্টপোষক হিসেবে কাজ করেছেন। মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশের সাবেক ওসি মীর জালাল উদ্দিনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে মাদক সম্রাটদের অধরা রেখেছেন। থানার কোন পুলিশ সদস্য এই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান দিলে সাবেক ওসি মোল্লা বশিরের মাধ্যমে ওই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে অন্য স্থানে চলে যেতে বলতেন। এর বিনিময়ে সাবেক ওসি প্রতিমাসে মোল্লা বশিরের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, অভিযানের সময় অত্র এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট ইসতিয়াকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মোল্লা বশির দেশ থেকে এই শীর্ষ মাদক সম্রাটকে পালানোর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এছাড়াও শীর্ষ ইয়াবার ডিলার পাচ্ছু ও পাপিয়ার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সাবেক ওসি’র নামে চাঁদা নেন মোল্লা বশির। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এই দম্পত্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে এই দম্পত্তি কারাগারে রয়েছেন। জানা গেছে, জেনেভাক্যাম্পের আরেক মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান বেগম মোল্লা বশিরের আপন মামী। তিনি কিছুদিন আগে ৭০০ পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হলে সাবেক ওসি মীর জালাল উদ্দিনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ১৭ পিস এর মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আব্দুস সালাম ও ডানু নামের দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোল্লা বশিরের আপন মামাতো ভাই। ২০১৫ সালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয় তিনি বশিরের মামাতো ভাই। মাদক অভিযানের সময় গোলাগুলিতে মৃত্যু হওয়া হওয়া পচিশ এর সাথে একবার মিটিংও করেন বশির। সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পচিশকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন মোল্লা বশির। তাকে যেন ক্রসফায়ার না দেওয়া হয় সেজন্য পচিশের কাছ থেকে এক কোটি টাকা নেন মোল্লা বশির এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার বাসায় পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে মানববন্ধনে শতকরা একশো লোকের মধ্যে ৯০ জনই ছিল মাদক ব্যবসায়ী। জানা গেছে, কলিম ওরফে জাম্বু, ইয়াবার মেইন ডিলার। কয়েকদিন আগে ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ব্যানারে বক্তব্য দেন। এই মানববন্ধনে জহুরী নামের আরেক মাদক ব্যবসায়িকেও দেখা যায়। উক্ত মানববন্ধনে ছিলেন এসিড নিক্ষেপকারী আজিজ। তিনি নার্গিস নামের এক নারীকে এসিড নিক্ষেপ করে দগ্ধ করেন। তার বিরুদ্ধে সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।

এছাড়াও সোনিয়া নামের আরেক নারী আজিজের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। জানা গেছে, এই নারীকে এসিড নিক্ষেপ ও অন্য নারীকে নির্যাতনের পেছনে মূল নায়ক হিসেবে রয়েছেন মোল্লা বশির। সর্বশেষ তার শেল্টারে মোহাম্মদপুর এলাকার অবাঙ্গালীদের এই ক্যাম্পে দুই শত মাদক ব্যবসায়ী বসবাস করছেন। এবং তার শেল্টারে তারা নির্বিগ্নে মাদক ব্যবসা করছেন। তিনি নিজেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশ জানতে পেরে তার বাসায় অভিযান চালান। এই অভিযানকে কেন্দ্র করেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩০-৪০ জন মানুষ নিয়ে একটি মানববন্ধন করেন মোল্লা বশির। এই কয়েকজন লোকের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই ছিলেন জেনেভাক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত মানববন্ধনে মোল্লা বশির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি পুলিশের ভয়ে উপস্থিত হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাদক বিরোধী মানববন্ধনে মাদক ব্যবসায়ীরা!

আপডেট সময় : ১১:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০১৯

জি রহমান; সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মোহাম্মাদপুর জেনেভাক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্টপোষকখ্যাত মোল্লা বশিরের বাসায় পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে একটি মানববন্ধন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মোল্লা বশির ঐ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়িদের পৃষ্টপোষক হিসেবে কাজ করেছেন। মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশের সাবেক ওসি মীর জালাল উদ্দিনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে মাদক সম্রাটদের অধরা রেখেছেন। থানার কোন পুলিশ সদস্য এই এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান দিলে সাবেক ওসি মোল্লা বশিরের মাধ্যমে ওই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে অন্য স্থানে চলে যেতে বলতেন। এর বিনিময়ে সাবেক ওসি প্রতিমাসে মোল্লা বশিরের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, অভিযানের সময় অত্র এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট ইসতিয়াকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মোল্লা বশির দেশ থেকে এই শীর্ষ মাদক সম্রাটকে পালানোর সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এছাড়াও শীর্ষ ইয়াবার ডিলার পাচ্ছু ও পাপিয়ার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সাবেক ওসি’র নামে চাঁদা নেন মোল্লা বশির। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এই দম্পত্তিকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে এই দম্পত্তি কারাগারে রয়েছেন। জানা গেছে, জেনেভাক্যাম্পের আরেক মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহান বেগম মোল্লা বশিরের আপন মামী। তিনি কিছুদিন আগে ৭০০ পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হলে সাবেক ওসি মীর জালাল উদ্দিনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ১৭ পিস এর মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আব্দুস সালাম ও ডানু নামের দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোল্লা বশিরের আপন মামাতো ভাই। ২০১৫ সালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয় তিনি বশিরের মামাতো ভাই। মাদক অভিযানের সময় গোলাগুলিতে মৃত্যু হওয়া হওয়া পচিশ এর সাথে একবার মিটিংও করেন বশির। সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পচিশকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন মোল্লা বশির। তাকে যেন ক্রসফায়ার না দেওয়া হয় সেজন্য পচিশের কাছ থেকে এক কোটি টাকা নেন মোল্লা বশির এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার বাসায় পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে মানববন্ধনে শতকরা একশো লোকের মধ্যে ৯০ জনই ছিল মাদক ব্যবসায়ী। জানা গেছে, কলিম ওরফে জাম্বু, ইয়াবার মেইন ডিলার। কয়েকদিন আগে ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন। অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ব্যানারে বক্তব্য দেন। এই মানববন্ধনে জহুরী নামের আরেক মাদক ব্যবসায়িকেও দেখা যায়। উক্ত মানববন্ধনে ছিলেন এসিড নিক্ষেপকারী আজিজ। তিনি নার্গিস নামের এক নারীকে এসিড নিক্ষেপ করে দগ্ধ করেন। তার বিরুদ্ধে সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।

এছাড়াও সোনিয়া নামের আরেক নারী আজিজের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। জানা গেছে, এই নারীকে এসিড নিক্ষেপ ও অন্য নারীকে নির্যাতনের পেছনে মূল নায়ক হিসেবে রয়েছেন মোল্লা বশির। সর্বশেষ তার শেল্টারে মোহাম্মদপুর এলাকার অবাঙ্গালীদের এই ক্যাম্পে দুই শত মাদক ব্যবসায়ী বসবাস করছেন। এবং তার শেল্টারে তারা নির্বিগ্নে মাদক ব্যবসা করছেন। তিনি নিজেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মোহাম্মাদপুর থানা পুলিশ জানতে পেরে তার বাসায় অভিযান চালান। এই অভিযানকে কেন্দ্র করেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩০-৪০ জন মানুষ নিয়ে একটি মানববন্ধন করেন মোল্লা বশির। এই কয়েকজন লোকের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই ছিলেন জেনেভাক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত মানববন্ধনে মোল্লা বশির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি পুলিশের ভয়ে উপস্থিত হননি।