ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার জনসনের বেবি শ্যাম্পুতে ক্ষতিকর উপাদান

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের পর এবার ক্ষতিকারক উপকরণ পাওয়া গেল কোম্পানিটির তৈরি বেবি শ্যাম্পুর নমুনায়। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি এ পণ্যটি। যদিও বেবি শ্যাম্পু প্রস্তুতকারক সংস্থাটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। আর রাজ্য সরকারের এ রিপোর্টে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারও।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের ‘নো মোর টিয়ার্স’বেবি শ্যাম্পুর দুটি ব্যাচের পণ্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছে রাজস্থান প্রশাসন। তাদের অভিযোগ, ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেবি শ্যাম্পুতে। আর সে কারণেই এই পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই এই জনসনের বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস থাকার অভিযোগ ওঠে। নিজেদের সংস্থার তৈরি শিশুদের গায়ে ব্যবহারের পাউডারে অ্যাসবেস্টস রয়েছে, এ কথা প্রথম থেকেই জানতো বিশ্বের জনপ্রিয়তম শিশু পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন।

কিন্তু নিজেদের কাছে এই তথ্য থাকা সত্ত্বেও বার বার তা অস্বীকার করে গেছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা। সম্প্রতি রয়টার্সের একটি রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে।

তবে কোম্পানিটির মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘রিপোর্ট বলছে, নমুনায় ফরম্যালডিহাইড পাওয়া গেছে, যা কারসিনোজেনিক অর্থাৎ মানবদেহে ক্যান্সার দানা বাঁধতে পারে, এ রকম উপকরণ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক রিপোর্ট গ্রহণ করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য খুবই নিরাপদ। শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সতর্কতা নিয়ে থাকি।’

খবরে বলা হয়েছে, হিসেব অনুযায়ী, পরীক্ষিত ওই দুটি ব্যাচের প্রতিটিতে ৫০ হাজার বোতল করে শ্যাম্পু রয়েছে। পণ্যটি হিমাচল প্রদেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কারখানায় তৈরি করা হয়েছে।

সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, ‘কেন্দ্রকে (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) আমরা জানিয়েছি পণ্যে ফরম্যালডিহাইড মেশানো হয়নি’।

রাজস্থান ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (আরডিসিও) কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে রয়টার্সের রিপোর্টকে ‘মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত’বলা হয়েছে।