ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




হাস্যোজ্জ্বল আর বুদ্ধিদীপ্ত মুন্নি আক্তারের গল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার;
ক্যাম্পাসের সবাই তাকে চিনত এক নামে। সদা হাস্যোজ্জ্বল আর বুদ্ধিদীপ্ত মেয়েটি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাদল ব্যাপারীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। ক্যাম্পাসের যেখানে ঘটনা সেখানেই ছিল তার সরব উপস্থিতি। পড়ালেখা করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ১১তম ব্যাচে। নাম মুন্নি আক্তার।

রাজবাড়ীর মেয়ে মুন্নি ২০১৪ সালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিভাগের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ ও সঞ্চালনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেলে ধরেন নিজের প্রতিভা। এর স্বীকৃতিস্বরূপ নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নানা পুরস্কার। ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসের ‘সেরা ফিচার লেখক’ নির্বাচিত হন। এ সবকিছুর পেছনে তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বন্ধুবান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা।
দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (গবিসাস) পঞ্চম কমিটির (২০১৭-১৮) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনিই ছিলেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি। এখন গবিসাসের ষষ্ঠ কমিটির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা শুরু করেন ২০১৬ সালে। ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। কর্মব্যস্ততার মাঝে এখনও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত ফিচার লিখছেন। লেখালেখি ও সাংবাদিকতার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল তার। বিতার্কিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন কলেজজীবনে। ‘বিতর্ক করার রসদ জোগাতে সব সময় বই ও পত্রিকা পড়তে উৎসাহ দিতেন মা। ওই সময়েই সাংবাদিকতার প্রতি আমার ভালো লাগার শুরু,’ বলেন মুন্নি।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা হচ্ছে সাংবাদিকতার আঁতুড়ঘর। একজন দক্ষ, সৎ ও সাহসী গণমাধ্যমকর্মী তৈরির প্রাথমিক শিক্ষালয় হিসেবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে বিবেচনা করে এর বিকাশে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাংবাদিকতার বাইরে মুন্নির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভ্রমণ। তিনি বলেন, আমি পৃথিবীটাকে নিজের মতো করে দেখতে চাই। বন্ধু, আড্ডা ও লেখালেখি এ নিয়েই আমার পথচলা। অবসর সময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাই। তাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করি। এ সময়টাই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।’
মুন্নি জানান তার স্বপ্নের কথা ‘ভালো আইনজীবী হয়ে নিজের অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে ব্যয় করতে চাই। অধিকারবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যেতে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের সব শিশু একদিন শিক্ষার সুযোগ পাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হাস্যোজ্জ্বল আর বুদ্ধিদীপ্ত মুন্নি আক্তারের গল্প

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার;
ক্যাম্পাসের সবাই তাকে চিনত এক নামে। সদা হাস্যোজ্জ্বল আর বুদ্ধিদীপ্ত মেয়েটি বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাদল ব্যাপারীর সঙ্গে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। ক্যাম্পাসের যেখানে ঘটনা সেখানেই ছিল তার সরব উপস্থিতি। পড়ালেখা করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ১১তম ব্যাচে। নাম মুন্নি আক্তার।

রাজবাড়ীর মেয়ে মুন্নি ২০১৪ সালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিভাগের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ ও সঞ্চালনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মেলে ধরেন নিজের প্রতিভা। এর স্বীকৃতিস্বরূপ নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নানা পুরস্কার। ২০১৮ সালে ক্যাম্পাসের ‘সেরা ফিচার লেখক’ নির্বাচিত হন। এ সবকিছুর পেছনে তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বন্ধুবান্ধব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা।
দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র (গবিসাস) পঞ্চম কমিটির (২০১৭-১৮) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনিই ছিলেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রথম নারী সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি। এখন গবিসাসের ষষ্ঠ কমিটির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা শুরু করেন ২০১৬ সালে। ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। কর্মব্যস্ততার মাঝে এখনও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত ফিচার লিখছেন। লেখালেখি ও সাংবাদিকতার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল তার। বিতার্কিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন কলেজজীবনে। ‘বিতর্ক করার রসদ জোগাতে সব সময় বই ও পত্রিকা পড়তে উৎসাহ দিতেন মা। ওই সময়েই সাংবাদিকতার প্রতি আমার ভালো লাগার শুরু,’ বলেন মুন্নি।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা হচ্ছে সাংবাদিকতার আঁতুড়ঘর। একজন দক্ষ, সৎ ও সাহসী গণমাধ্যমকর্মী তৈরির প্রাথমিক শিক্ষালয় হিসেবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতাকে বিবেচনা করে এর বিকাশে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। সাংবাদিকতার বাইরে মুন্নির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ভ্রমণ। তিনি বলেন, আমি পৃথিবীটাকে নিজের মতো করে দেখতে চাই। বন্ধু, আড্ডা ও লেখালেখি এ নিয়েই আমার পথচলা। অবসর সময়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাই। তাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করি। এ সময়টাই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।’
মুন্নি জানান তার স্বপ্নের কথা ‘ভালো আইনজীবী হয়ে নিজের অর্জিত জ্ঞান দেশের উন্নয়নে ব্যয় করতে চাই। অধিকারবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যেতে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের সব শিশু একদিন শিক্ষার সুযোগ পাবে।’