ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা;
রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের থাকার ঘরে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। সে দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে বাদী করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ওই কিশোরীর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম তাকে উক্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখাপড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীর কাজ করেন। পরে ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপনাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি দ্রুত মেয়ের বাবাকে জানান। এরপর ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির যৌনাঙ্গে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করেন।’

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই ইমামকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক

আপডেট সময় : ১০:১১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা;
রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের থাকার ঘরে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। সে দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত মো. মাহফুজুর রহমানকে বাদী করে দেবিদ্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

ওই কিশোরীর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে আমাদের পুরনো বাড়িতে যাওয়া-আসা করতো। পথে প্রায় সময়ই ওই ইমাম তাকে উক্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই ইমাম রাস্তা থেকে ডেকে মসজিদের পূর্ব পাশে থাকার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।

ভিকটিমের মা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে আর লেখাপড়া করে না। সে বাড়িতেই থাকে এবং গৃহস্থালীর কাজ করেন। পরে ওই কিশোরী বাড়ি যেয়ে তার মায়ের কাছে গোপনাঙ্গে রক্তপাতের কথা বললে তিনি দ্রুত মেয়ের বাবাকে জানান। এরপর ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে দ্রুত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে এলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। মেয়েটির যৌনাঙ্গে রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, ‘ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযুক্ত ইমামের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ইমামকে আটক করেন।’

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ওই কিশোরী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই ইমামকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’