ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মুরগির বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশু পুরস্কৃত

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক; ভারতের ৬ বছর বয়সী এক শিশু নিজের সাইকেল দিয়ে মুরগির একটি বাচ্চাকে চাপা দেয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেই শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মানবিকতার এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় সেই শিশুকে পুরস্কৃত করেছে তার স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

মুরগির ওই বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যায়, ওই শিশুটির এক হাতে মুরগির বাচ্চা আর অন্য হাতে ছিল দশ রুপি।

ঘটনাটি ঘটে ভারতের মিজোরামের সাইরাং এলাকায়। ওই শিশুর নাম ডেরেক সি লালচানহিমা।

হাসপাতালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসা ওই ছবিটিতে ফেসবুকে অসংখ্য লাইক, মন্তব্য আর শেয়ার হয়েছে।

সাংগা সেইস নামের একটি আইডি থেকে ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। তিনি জানান, ডেরেকের বাবা ঘটনাটি তাকে জানানোর পর তার সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করেছিলেন।

সাংগা বলেন, ওর বাবার বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাক্রমে মেরে ফেলা প্রতিবেশীর একটি মুরগির বাচ্চা নিয়ে শিশুটি বাড়িতে আসে। বাচ্চাটি যে মারা গেছে সেটি সে বুঝতে পারছিল না তাই তার বাবাকে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য বলতে থাকে। বাবা তাকে দশটি রুপি দিয়ে তাকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

লালচানহিমা মুরগির বাচ্চা ও দশ রুপি হাতে হাসপাতালে হাজির হয়। সেখানে শিশুটির সরলতা ও মানবিকতা দেখে অভিভূত এক নার্স তার ছবি তোলেন। সেই ছবিটিই অনলাইনে ভাইরাল হয়।

হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে মুরগির বাচ্চাটিকে সাহায্য করার চেষ্টায় এরপর আরও ১০০ রুপি নিয়ে ফের হাসপাতালে ছুটে যায় শিশুটি।

সাংগা বলেন, শেষ পর্যন্ত তারা বাবা-মা তাকে বোঝান যে মুরগির বাচ্চাটা মারা গেছে, হাসপাতালের লোকেরা আর কিছু করতে পারবে না।