ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




জুনের মাঝামাঝি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকবে: আইইডিসিআর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০ ১০০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক;

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে থাকবে বলে ধারণা করছে করছে আইইডিসিআর। তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ নামতে পারে সহনীয় পর্যায়ে। তবে জাতীয় পরামর্শক কমিটি বলছে, সংক্রমণের শীর্ষবিন্দুতে এখনও পৌঁছেনি দেশ। তাই জুনের প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ কড়াকড়িভাবে বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করা জরুরি।

দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী এখনও সংক্রমণের ঝুঁকিতে পুরো দেশ।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের প্রাথমিক প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, জুনের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার কমে আসার কথা ছিল। কিন্তু একের পর এক ভুলে সংক্রমণ তো কমেইনি বরং ঊর্ধ্বমুখী।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, হঠাৎ করে বলা হলো অফিস, গার্মেন্টস খুলে দেয়া হবে সবাই ঢাকা চলে আসো। তখন একদল লোক ঢাকায় চলে আসলো এবং পরদিন বেতন দিয়ে বলা হলো তোমরা বাড়ি চলে যাও। এভাবেই সারাদেশে করোনাটা ছড়িয়েছে। এরপর মার্কেট খুলে দিয়ে আরও ঝুঁকি বাড়ানো হলো।

জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, একটি ফেরির মধ্যে গাদাগাদি করে লোকজন বাড়ি গেল। এদের মধ্যে অনেকে উপসর্গ ছাড়াই কোভিড পজিটিভ ছিল, যারা গ্রামে গিয়ে সবার সাথে মিশেছে। এর ফলে এটি খুব দ্রুতই গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টানা ছেষট্টি দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে ত্রিশে মে। পরদিন খুলছে অফিস-আদালত। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সংক্রমণ নিয়ে নতুন আরেকটি প্রক্ষেপণ তৈরি করেছে আইইডিসিআর। সে-অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ দিকে সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসতে পারে সংক্রমণ।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, আমাদের হিসেব মতে জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এখন যেমন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে তেমনই থাকবে। এটি সহজে স্বাভাবিক হবে না, তবে জুলাইয়ের শেষের দিকে সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।

অবশ্য জাতীয় টেকিনিক্যাল পরামর্শক কমিটি বলছে, সংক্রমণের শীর্ষবিন্দুর দেখা মেলেনি এখনও। তাই জুনে কড়াকড়িভাবে বিধি-নিষেধ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

তবে সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করার ওপরই নির্ভর করে যথাযথ প্রক্ষেপণ। তাই শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জুনের মাঝামাঝি করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকবে: আইইডিসিআর

আপডেট সময় : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক;

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে থাকবে বলে ধারণা করছে করছে আইইডিসিআর। তারপর ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ নামতে পারে সহনীয় পর্যায়ে। তবে জাতীয় পরামর্শক কমিটি বলছে, সংক্রমণের শীর্ষবিন্দুতে এখনও পৌঁছেনি দেশ। তাই জুনের প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ কড়াকড়িভাবে বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করা জরুরি।

দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী এখনও সংক্রমণের ঝুঁকিতে পুরো দেশ।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের প্রাথমিক প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, জুনের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার কমে আসার কথা ছিল। কিন্তু একের পর এক ভুলে সংক্রমণ তো কমেইনি বরং ঊর্ধ্বমুখী।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, হঠাৎ করে বলা হলো অফিস, গার্মেন্টস খুলে দেয়া হবে সবাই ঢাকা চলে আসো। তখন একদল লোক ঢাকায় চলে আসলো এবং পরদিন বেতন দিয়ে বলা হলো তোমরা বাড়ি চলে যাও। এভাবেই সারাদেশে করোনাটা ছড়িয়েছে। এরপর মার্কেট খুলে দিয়ে আরও ঝুঁকি বাড়ানো হলো।

জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, একটি ফেরির মধ্যে গাদাগাদি করে লোকজন বাড়ি গেল। এদের মধ্যে অনেকে উপসর্গ ছাড়াই কোভিড পজিটিভ ছিল, যারা গ্রামে গিয়ে সবার সাথে মিশেছে। এর ফলে এটি খুব দ্রুতই গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টানা ছেষট্টি দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে ত্রিশে মে। পরদিন খুলছে অফিস-আদালত। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় সংক্রমণ নিয়ে নতুন আরেকটি প্রক্ষেপণ তৈরি করেছে আইইডিসিআর। সে-অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ দিকে সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসতে পারে সংক্রমণ।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, আমাদের হিসেব মতে জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এখন যেমন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে তেমনই থাকবে। এটি সহজে স্বাভাবিক হবে না, তবে জুলাইয়ের শেষের দিকে সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে।

অবশ্য জাতীয় টেকিনিক্যাল পরামর্শক কমিটি বলছে, সংক্রমণের শীর্ষবিন্দুর দেখা মেলেনি এখনও। তাই জুনে কড়াকড়িভাবে বিধি-নিষেধ নিশ্চিতের বিকল্প নেই।

তবে সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করার ওপরই নির্ভর করে যথাযথ প্রক্ষেপণ। তাই শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।