ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি, সংঘর্ষের আশঙ্কা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

মুখোমুখি ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী, যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ভারত ও চীনের চলমান সংঘাতের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতসহ তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ওই বৈঠকে লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে চীনা সেনাদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর থেকে উভয় দেশের সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে। ভারতের ‘আজতক’ টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে পার্সটুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রায় একঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে ভারত কীভাবে চীনকে জবাব দিচ্ছে সে সম্পর্কে রাজনাথ সিংকে অবহিত করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চীনের সঙ্গে চলমান বিরোধ আলোচনা ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা হবে। তবে, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও দাঁড়িয়ে আছে, সেখানেই থাকবে। এছাড়া ভারত যে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চীনের সেনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও তার স্থাপনা বাড়িয়ে তুলবে। লাদাখের ঘটনার জন্য ভারত নিরাপত্তার নিরিখে তীক্ষ্ণ নজরদারি করেছে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি কঠোরভাবে নজর রাখছে।

সম্প্রতি পূর্ব লাদাখ ও সিকিমের নাকু লা সেক্টরে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর থেকে দুই দেশেই উত্তেজনার পরিস্থিতি রয়েছে। শুধু লাদাখই নয়, গত একমাসে তিনটি ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম সেক্টরে লাদাখ, পূর্ব সেক্টরে উত্তর সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডের কাছে উভয় দেশই মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।

চীন এরইমধ্যে লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কমপক্ষে ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েনের জন্য ভারী পরিবহন বিমান ব্যবহার করেছে। দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে বিমানের সাহায্যে সেনাসদস্যদের জড়ো করা হয়েছে। এজন্য হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উপায়ের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

সেনা সূত্রের খবর, প্যাংগং সো, ডেমচক ও দৌলত বেগে পরিস্থিতি এখন এমনই, যেকোনো মুহূর্তে ভারতীয় ও চীনা সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে। গালওয়ান উপত্যকায় গত দু’সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি তাঁবু খাটিয়েছে চীনা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রায় ২৫০ চীনা ও ভারতীয় সেনা। উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠকের পরে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই ঘটনার তিন দিনের মাথায় ফের গত ৯ মে উত্তর সিকিমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শতাধিক ভারতীয় ও চীনা সেনাসদস্য। ওই সময়েই চীনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভারতীয় সেনারা ঢুকে পড়েছিল তাদের এলাকায়। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব চীনের ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি, সংঘর্ষের আশঙ্কা!

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ভারত ও চীনের চলমান সংঘাতের মধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতসহ তিনবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ওই বৈঠকে লাদাখের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে চীনা সেনাদের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর থেকে উভয় দেশের সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে। ভারতের ‘আজতক’ টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে পার্সটুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রায় একঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে ভারত কীভাবে চীনকে জবাব দিচ্ছে সে সম্পর্কে রাজনাথ সিংকে অবহিত করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চীনের সঙ্গে চলমান বিরোধ আলোচনা ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা হবে। তবে, যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও দাঁড়িয়ে আছে, সেখানেই থাকবে। এছাড়া ভারত যে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে চীনের সেনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও তার স্থাপনা বাড়িয়ে তুলবে। লাদাখের ঘটনার জন্য ভারত নিরাপত্তার নিরিখে তীক্ষ্ণ নজরদারি করেছে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি কঠোরভাবে নজর রাখছে।

সম্প্রতি পূর্ব লাদাখ ও সিকিমের নাকু লা সেক্টরে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর থেকে দুই দেশেই উত্তেজনার পরিস্থিতি রয়েছে। শুধু লাদাখই নয়, গত একমাসে তিনটি ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম সেক্টরে লাদাখ, পূর্ব সেক্টরে উত্তর সিকিম এবং উত্তরাখণ্ডের কাছে উভয় দেশই মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে।

চীন এরইমধ্যে লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কমপক্ষে ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েনের জন্য ভারী পরিবহন বিমান ব্যবহার করেছে। দৌলত বেগ ওল্ডি সেক্টরে বিমানের সাহায্যে সেনাসদস্যদের জড়ো করা হয়েছে। এজন্য হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উপায়ের সাহায্য নেয়া হয়েছে।

সেনা সূত্রের খবর, প্যাংগং সো, ডেমচক ও দৌলত বেগে পরিস্থিতি এখন এমনই, যেকোনো মুহূর্তে ভারতীয় ও চীনা সেনারা মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে। গালওয়ান উপত্যকায় গত দু’সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি তাঁবু খাটিয়েছে চীনা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়। পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রায় ২৫০ চীনা ও ভারতীয় সেনা। উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠকের পরে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও ওই ঘটনার তিন দিনের মাথায় ফের গত ৯ মে উত্তর সিকিমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শতাধিক ভারতীয় ও চীনা সেনাসদস্য। ওই সময়েই চীনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভারতীয় সেনারা ঢুকে পড়েছিল তাদের এলাকায়। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব চীনের ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন।