২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ইং | ১০ই ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
সকালের সংবাদ | logo
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • সারা বাংলা
    • অনুসন্ধানী চোখ
    • আইন ও প্রশাসন
    • আদালত
    • ব্যাবসা বানিজ্য
    • খেলার সংবাদ
    • গণমাধ্যম
    • বিনোদন সংবাদ
    • শিক্ষা
    • চাকুরীর সংবাদ
    • ভোটের হাওয়া
    • আমাদের পরিবার
    • অন্যান্য
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • মুক্তকন্ঠ
      • পাঠকের মতামত
      • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
      • শেয়ার বাজার
      • জীবনের গল্প
      • রকমারি
      • লিড নিউজ
      • ফিচার
      • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
      • প্রবাস
      • নাগরিক ভোগান্তি
      • লাইফস্টাইল
      • অর্থ
      • চোখের সামনে
      • পৃথিবী জুড়ে
      • লেখকের কলাম
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • সারা বাংলা
    • অনুসন্ধানী চোখ
    • আইন ও প্রশাসন
    • আদালত
    • ব্যাবসা বানিজ্য
    • খেলার সংবাদ
    • গণমাধ্যম
    • বিনোদন সংবাদ
    • শিক্ষা
    • চাকুরীর সংবাদ
    • ভোটের হাওয়া
    • আমাদের পরিবার
    • অন্যান্য
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • মুক্তকন্ঠ
      • পাঠকের মতামত
      • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
      • শেয়ার বাজার
      • জীবনের গল্প
      • রকমারি
      • লিড নিউজ
      • ফিচার
      • সাহিত্য ও সংস্কৃতি
      • প্রবাস
      • নাগরিক ভোগান্তি
      • লাইফস্টাইল
      • অর্থ
      • চোখের সামনে
      • পৃথিবী জুড়ে
      • লেখকের কলাম
    মেনু

    সাহিত্য ও সংস্কৃতি

    মা কেন কাঁদে! মা-মায়ের অনুভূতি; রেবেকা সুলতানা

    | ৭:৫৭ মিনিট, ফেব্রুয়ারি ০৪ ২০১৯

     

    মা, কি অদ্ভুত চরিত্র, তাইনা? কতো কারনে যে মায়ের চোখে জল আসে ভেবে পাইনা। যখন অনেক ছোট ছিলাম মা কে দেখতাম কারনে অকারনে চোখ মুছে চলে। ভাই বোন বাড়িতে এলে কাদে, বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় কাদে, চাকরিতে প্রমোশন পেলেও কাদে, এলোমেলো জায়গায় পোস্টিং পেলেও কাদে, নাতি পুতিদের পরীক্ষার ফল খারাপ হলেও কাদে আবার সাফল্যেও অশ্রুসজল হয়। অবাক হয়ে ভাবি কেন কাদে এ মহিলা সবকিছুতে! মানুষ তো আনন্দের ঘটনায় হাসবে আর বিষাদে কাদবে, তাইনা? মাকে জিজ্ঞেস করলে বলে – আনন্দে কান্না আসে। আনন্দে আবার কেউ কাদে নাকি? কি বলেন আম্মা!!

    – দিন যায় অভিজ্ঞতা বদলে যায়। একদিন শৈশব ছিল- কড়া শাসন কিংবা যা চাচ্ছি তা না হলে কান্না আসতো! আস্তে আস্তে বড় হয়েছি জীবনের নানান সময়ে নানান ঘটনায় কখনো হেসেছি কখনো কেদেছি। হাসি এবং কান্নার মাঝেই তো জীবন, তাইনা? কিন্তু! যতোই মা হয়ে উঠছি কারনে অকারনে চোখে জল চলে আসে। আজ হয়তো বুঝি- মা কেন কাদে সন্তানের ভালো মন্দে।

    – প্রায় দশ বছর আগে চাকুরির প্রয়োজনে ছেলেদের নিয়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে আসি। ছোট ছোট বাচ্চা তিনটা ছেলে আমার। সপ্তাহের ছুটির দিনে ওদের বাবা কে পাওয়া হয় আজ অবধি। বাকিটা সময় মা ওদের দিন রাতের চলার সাথী। চাকুরি করে বেলা অবেলায় যত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠছে আমার সন্তানেরা। আমি ওদের দিকে তাকাই ওদের বড় হওয়া, পরিবর্তন খেয়াল করি। আর অবাক হই। ছোট ছোট ছেলেগুলার বড় হয়ে উঠা আর আমার নিয়ত ছুটে চলা জীবনের সাথে ওদের মানিয়ে নেওয়া আমাকে মুগ্ধ করে। আমার ছোট ছেলেটা যখন থিয়েটারের মঞ্চে সংলাপ ছুড়ে চোখ ভিজে যায়। চোখ ভিজে যায় মেঝ ছেলে যখন স্কুলের জার্সি পরে এসে বলে আম্মু আন্তঃস্কুল ক্রিকেটে আমাকে নিয়েছে। আমি অবাক হয়ে শুনি আমার বড় ছেলের হাতে গিটারের সুর আর আড়ালে চোখ মুছি। যখন দেখি আমার কোলে নিয়ে ফেরা ছোট বাচ্চাটা আজ মায়ের ব্যস্ততার জন্য একা একাই স্কুলে যায় আমার চোখ ভিজে যায়। কতো সকালে অফিস যাওয়ার তাড়ায় আমার মেঝ ছেলেটা যে আম্মু না তুলে দিলে বা বেড়ে দিলে খেতে পারেনা সে অভিমানে না খেয়ে স্কুলে চলে যায়। আমার এই ব্যস্ততাজনিত অপারগতায় সারাদিন অফিস কাজের ফাকেও চোখ মুছে যাই। আমার বড় ছেলেটার বেড়ে উঠা, তার দায়িত্ববোধ, তার স্থিরতা আমাকে ভেতর থেকে ভালো থাকতে শেখায়। মাত্র একটি সাবজেক্টে জিপিএ-৪ পাওয়ায় যখন মেঝ ছেলে এপ্লাস হারিয়ে আমায় পা ছুয়ে বলে আম্মু ক্ষমা করে দাও, সামনে ভাল করবো- ভেতরে হাসি আসে আর চোখে জল। অবুঝ এই ছেলেটা আমার অনেক বুঝে কিন্তু কিছুই বুঝেনা। ওর এই ছেলেমানুষী আমাকে ভাবায়, কাদায় আবার কখনো হাসায়। মা কেন কাদে আজ বুঝি!!

    সন্তানের মুখের দিকে তাকালে ভেসে উঠে ওদের জন্ম থেকে শুরু করে অদ্যবধি চলা সংগ্রাম- আর এই সংগ্রামের সফলতা, ব্যর্থতা। সন্তান বড় করার পেছনে মা-বাবা দুজনের ই সংগ্রাম থাকে। দুজনের বোধ আলাদা হয়। আমি জানি একইভাবে হয়তো আড়ালে ওদের জ্যামিতিক বিশ্লেষণে আমারই মতো কান্নার জল মুছেন ওদের জনক।

    আসলে কিছু অনুভুতি লিখে রাখি সময়টাকে ধরে রাখার জন্যই। সময় বয়ে যায় খুব দ্রুত। আমার ছোট ছোট বাচ্চারা বড় হয়ে যাচ্ছে। আকারে ওরা দুজন আমাকে ছাড়িয়ে গেছে বহু আগেই। আজ বড় ছেলেটা এসএসসি দিতে বসেছে। ওকে স্কুল ক্যাম্পাসে দেয়ার সময় ভাবছিলাম- এইতো আমার সংগ্রামের সফলতা। বড় হও বাবা! জ্ঞানে-গুনে-মানবিকতায় সমৃদ্ধ হও!! ওকে পৌছে দিয়ে যখন পিছু ফিরে হাটছি সেই চিরচেনা চোখের জল গড়াচ্ছে!! আজ তাই আমার মা কে বলতে চাই, আমি মা হয়েছি আজ আমি তোমার চোখের জলের অর্থ বুঝি মা!!

    – চলমান এসএসসি পরীক্ষায় আমার ছেলের সাথে আরও যারা পরীক্ষায় বসেছে সবাই সফল হোক, খুব ভাল ফল আসুক। আমার মতো সব মায়েদের চোখ ভিজে উঠুক বারবার, মমতায়-ভালোবাসায়-আদরে-শাসনে-বারনে আমাদের সন্তানেরা সমাজে উদাহরন হয়ে উঠুক এটুকুই চাওয়া।

    লেখকঃ রেবেকা সুলতানা, 
    উন্নয়ন কর্মী, নির্বাহী পরিচালক, অন্যচিত্র উন্নয়ন সংস্থা ।

    Related

    Share on Facebook Share
    Share on TwitterTweet
    Share on Google Plus Share
    Share on Pinterest Share
    Share on LinkedIn Share
    Share on Digg Share

    সংশ্লিষ্ট খবর

    • ভালোবাসা দিবস হোক অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সেতুবন্ধন
    • ডাঃ ফারহানা মোবিন এর লেখা ছোটদের বই ” উড়ে যায় মুনিয়া পাখি”
    • আজ ভালোবাসার দিন
    • অমর একুশে বইমেলায় রম্য লেখক ও শিশু সাহিত্যিক সত্যজিৎ বিশ্বাসের বইগুলি
    • মা কেন কাঁদে! মা-মায়ের অনুভূতি; রেবেকা সুলতানা
    • ভ্রষ্ট সমাজ- হাফিজুর রহমান শফিক
    • দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গৌরীপুর স্বজন সমাবেশের ২০ দিন ব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন

    নির্বাচিত সংবাদ

    • নবম ওয়েজবোর্ড সুপারিশ পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক কাদের
    • সকালের সংবাদের ইউরোপ ব্যুরো দ্বায়িত্ব পেলেন তুহিন মাহমুদ
    • নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ৭ ডিসেম্বর

    বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

    সকাল মিডিয়া কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।

    Copyright © সকালের সংবাদ  2018

    প্রধান সম্পাদক- হাফিজুর রহমান শফিক

    সহ-সম্পাদক- তাসলিমা আক্তার দিনা

    সকাল মিডিয়া লিঃ কর্তৃক ঢাকা থেকে প্রকাশিত।

    উপদেষ্টা সম্পাদক - মনজুরুল হক ( প্রকৌশলী)

    বার্তা কক্ষ -০১৬১৪ ০০০৩৬৭

    বানিজ্যিক যোগাযোগ - ০১৭১১ ৮৭২৬৯৬ - ০১৭১৮২৬৫৯৭১

    Website Design & Developed by
    logo