ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করায় ৪ শিক্ষক বরখাস্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ৪ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৮ মে) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠি ওই চার শিক্ষকের হাতে পৌঁছেছে।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক আয়নুল হক, মোজাফফর হোসেন, গোলাম মোস্তফা ও রেজাউল করিম ওরফে সুইট। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।

জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত করা সুবিধাভোগীদের তালিকা শিক্ষকদের যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ১২ মে বাগমারার ইউএনও শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তালিকাগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন।

সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন ১৩ মে শিক্ষক আয়নুল হক এই সিদ্ধান্ত কটাক্ষ নিজেদের ‘কলুর বলদ’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তার বক্তব্য সমর্থন করেন এলাকার আরও তিনজন শিক্ষক।

পরে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি ইউএনওর নজরে এলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ওই চার শিক্ষকের দাবি ‘তারা না বুঝে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও লাইক দিয়েছেন। এ জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী।’

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘সরকারি পরিপত্র জারির পর এ ধরনের স্ট্যাটাস অমার্জনীয় অপরাধ। তাই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করায় ৪ শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ৪ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৮ মে) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠি ওই চার শিক্ষকের হাতে পৌঁছেছে।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক আয়নুল হক, মোজাফফর হোসেন, গোলাম মোস্তফা ও রেজাউল করিম ওরফে সুইট। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।

জানা যায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত করা সুবিধাভোগীদের তালিকা শিক্ষকদের যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ১২ মে বাগমারার ইউএনও শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তালিকাগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেন।

সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পরের দিন ১৩ মে শিক্ষক আয়নুল হক এই সিদ্ধান্ত কটাক্ষ নিজেদের ‘কলুর বলদ’ হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তার বক্তব্য সমর্থন করেন এলাকার আরও তিনজন শিক্ষক।

পরে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি ইউএনওর নজরে এলে তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ওই চার শিক্ষকের দাবি ‘তারা না বুঝে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও লাইক দিয়েছেন। এ জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী।’

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘সরকারি পরিপত্র জারির পর এ ধরনের স্ট্যাটাস অমার্জনীয় অপরাধ। তাই তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।