ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




করোনা ভয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলের বিভাগীয় প্রধানের অবসর আবেদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার গবেষণাগার স্থাপনের কাজ শেষের পথে। তবে এরই মধ্যে ‘পরিবারের চাপে’ স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আবেদন করেছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম টি জাহাঙ্গীর হুসাইন। গত ৩০ মার্চ পিসিআর মেশিন পৌঁছার পরপরই তিনি অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যেতে লিখিত আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেছেন, তার চাকরি আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরিবারের চাপে তিনি অবসরকালীন ছুটির আবেদন করেছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস বলেন, আমি কোনো আবেদন পাইনি।

তিনি বলেন, ভাইরাস পরীক্ষাগারের নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরি। তাই গণপূর্ত বিভাগ সেই বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রেখে কাজ করছে। আমরাও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার প্রস্তুত করতে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একটি কক্ষে ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। তবে ল্যাব পরিচালনার জন্য এখানে বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট ও দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। এ নিয়ে চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া দু’জনসহ সন্দেহভাজন আরও চার রোগীর ড্রপলেট পরীক্ষার রিপোর্ট আইইডিসিআর থেকে শনিবার এসে পৌঁছেছে। তাদের কারও করোনা ধরা পড়েনি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এ তথ্য জানান।

এ ছাড়া হাসপাতালে বসানো পিসিআর মেশিনে গতকাল করোনা পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের নবনির্মিত একটি ভবনে স্থাপন করা হয়েছে করোনা ইউনিট। এ পর্যন্ত সেখানে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দু’জন। ছয়জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, যে দু’জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হৃদরোগে আক্রান্ত। ভুলক্রমে তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। মারা যাওয়া অন্যজন পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেনের করোনা উপসর্গ ছিল। গত ২৯ মার্চ মারা যাওয়া ওই দু’জনসহ মোট ছয়জনের ড্রপলেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। শনিবার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তাদের রিপোর্টের ফল নেগেটিভ।

করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, শনিবার দু’জন রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের ড্রপলেট আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




করোনা ভয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলের বিভাগীয় প্রধানের অবসর আবেদন

আপডেট সময় : ০১:২২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০

বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার গবেষণাগার স্থাপনের কাজ শেষের পথে। তবে এরই মধ্যে ‘পরিবারের চাপে’ স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আবেদন করেছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম টি জাহাঙ্গীর হুসাইন। গত ৩০ মার্চ পিসিআর মেশিন পৌঁছার পরপরই তিনি অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যেতে লিখিত আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হুসাইন বলেছেন, তার চাকরি আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরিবারের চাপে তিনি অবসরকালীন ছুটির আবেদন করেছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস বলেন, আমি কোনো আবেদন পাইনি।

তিনি বলেন, ভাইরাস পরীক্ষাগারের নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরি। তাই গণপূর্ত বিভাগ সেই বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রেখে কাজ করছে। আমরাও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার প্রস্তুত করতে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একটি কক্ষে ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। তবে ল্যাব পরিচালনার জন্য এখানে বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট ও দক্ষ টেকনিশিয়ান নেই। এ নিয়ে চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।

এ দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়া দু’জনসহ সন্দেহভাজন আরও চার রোগীর ড্রপলেট পরীক্ষার রিপোর্ট আইইডিসিআর থেকে শনিবার এসে পৌঁছেছে। তাদের কারও করোনা ধরা পড়েনি। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এ তথ্য জানান।

এ ছাড়া হাসপাতালে বসানো পিসিআর মেশিনে গতকাল করোনা পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের নবনির্মিত একটি ভবনে স্থাপন করা হয়েছে করোনা ইউনিট। এ পর্যন্ত সেখানে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন রোগী। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দু’জন। ছয়জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, যে দু’জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হৃদরোগে আক্রান্ত। ভুলক্রমে তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। মারা যাওয়া অন্যজন পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেনের করোনা উপসর্গ ছিল। গত ২৯ মার্চ মারা যাওয়া ওই দু’জনসহ মোট ছয়জনের ড্রপলেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। শনিবার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তাদের রিপোর্টের ফল নেগেটিভ।

করোনা ইউনিটের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন জানান, শনিবার দু’জন রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের ড্রপলেট আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।