ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




১১৫ দেশ ভ্রমণকারী কাজী আসমা আজমেরীর হোম কয়ারেন্টাই না মানার অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

পৃথিবীর ১১৫ টি দেশ ভ্রমণ করে খুলনার মেয়ে আসমা আজমেরী রেকর্ড গড়েছেন। ফলে তরুণ সমাজের নিকট তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সকলের কাছেই পরিচিত এক নাম কাজী আসমা আজমেরী। বাংলাদেশের পাসপোর্টে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ভ্রমণ ভ্রমণ করেন তিনি। তা নিয়ে বিগত দিনে দেশের গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। গত মাসের প্রথমে ইউরোপ ভ্রমণ শেষে দেশে আসেন কাজী আসমা আজমেরী। তবে নিয়ম অনুযায়ী হোম কয়ারেন্টেন মানেননি তিনি।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তিনি ইউরোপের দেশ গ্রিসে ভ্রমণ করে ভারত হয় বাংলাদেশে আসেন। তিনি যখন দেশে ফিরেছেন ঠিক তখনই সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্ত। মৃত্যুর শহরে পরিণত হচ্ছিল ইউরোপের দেশগুলো। বৈশ্বিক এই মহামারীর মধ্যে তিনি দেশে এসে কোনরকম হোম কোয়ারেন্টাইন মানেননি।

গ্রীস ভ্রমণ এর আগেও তিনি আরও বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে এসেছেন এরপর ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসে কাজী আসমা আজমেরী ঢাকায় অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন স্থানে এমনকি তিনি দৈনিক কালের কন্ঠ ওপেন বাংলা সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দেশে ফিরে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দেখা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর পরবর্তীতে তিনি তার জন্মস্থান খুলনায় অবস্থান করেন বেশ কয়েকদিন। সেখানে কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে অসংখ্য বাচ্চাদের বিশ্বভ্রমণের গল্প শোনান। এসব নিয়ে খুলনা সহ দেশের অনেক সচেতন মহল নিজেদেরকে আতঙ্কিত মনে করছেন। বেশ কয়েকজন খুলনাবাসী জানিয়েছেন কাজী আসমা আজমেরী খুলনায় এসে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কয়েকদিন আগেই তিনি ইউরোপ সফর করে এসেছেন তাই আমাদের খুব ভয় হচ্ছে যে পুরো খুলনায় তিনি মহামারী ছড়াতে পারেন। অপরদিকে এলাকাবাসী কারেন্ট আইন না মানার বিষয়ে তাগিদ দিলে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে সে সমস্ত লোকজনকে চাঁদাবাজ মেনশন করে পোস্ট দিয়েছেন দেখা গেছে।

সর্বশেষ গতকাল ২৫ শে মার্চ ঢাকাতে অবস্থান শেষে একটি লরিতে আবারও খুলনায় ফিরেছেন তিনি। এ সময় ঢাকায় অসংখ্য মানুষের গণজমায়েত দেখে তিনি নিজেও ফেসবুকে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট করেছেন। অথচ তিনি নিজেই ইউরোপ ভ্রমণ করে দেশে এসে আই সলিউশন বা হোম কোয়ারান্টাইন না না মেনে বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে কাজী আসমা আজমেরী ফেসবুক ওয়ালে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, দেশের বাইরে থেকে আসার পরে ফেসবুক লাইভ পোস্টে তিনি বলছেন ঠান্ডা লেগে তার গলাটা ব্যথা গলা ভেঙে গেছে। তাই কথা ঠিকমত কেউ বুঝে কিনা তিনি বলতে পারছেন না!

দেশে অবস্থানের এসময়টা তিনি অসংখ্য মানুষের সাথে সাক্ষাত করেছেন। দেশে আসার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে র সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন কাজী আজমিরার দেশে আসার পরে হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন দপ্তর বিভিন্ন স্কুলে বাচ্চাদের সাথে নিয়মিত মিসেস সেন বিষয়টি এখন অনেকের মাঝি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজী আসমা আজমেরী কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যখন দেশে এসেছি তখন শুধু চিনে করনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। তবে তিনি দেশে আসার পরে কোন মেডিকেল চেকআপ করেছিলেন কি-না এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




১১৫ দেশ ভ্রমণকারী কাজী আসমা আজমেরীর হোম কয়ারেন্টাই না মানার অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

পৃথিবীর ১১৫ টি দেশ ভ্রমণ করে খুলনার মেয়ে আসমা আজমেরী রেকর্ড গড়েছেন। ফলে তরুণ সমাজের নিকট তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সকলের কাছেই পরিচিত এক নাম কাজী আসমা আজমেরী। বাংলাদেশের পাসপোর্টে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ ভ্রমণ ভ্রমণ করেন তিনি। তা নিয়ে বিগত দিনে দেশের গণমাধ্যমে অসংখ্য সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। গত মাসের প্রথমে ইউরোপ ভ্রমণ শেষে দেশে আসেন কাজী আসমা আজমেরী। তবে নিয়ম অনুযায়ী হোম কয়ারেন্টেন মানেননি তিনি।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তিনি ইউরোপের দেশ গ্রিসে ভ্রমণ করে ভারত হয় বাংলাদেশে আসেন। তিনি যখন দেশে ফিরেছেন ঠিক তখনই সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্ত। মৃত্যুর শহরে পরিণত হচ্ছিল ইউরোপের দেশগুলো। বৈশ্বিক এই মহামারীর মধ্যে তিনি দেশে এসে কোনরকম হোম কোয়ারেন্টাইন মানেননি।

গ্রীস ভ্রমণ এর আগেও তিনি আরও বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে এসেছেন এরপর ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসে কাজী আসমা আজমেরী ঢাকায় অবস্থান করেন এবং বিভিন্ন স্থানে এমনকি তিনি দৈনিক কালের কন্ঠ ওপেন বাংলা সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দেশে ফিরে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দেখা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর পরবর্তীতে তিনি তার জন্মস্থান খুলনায় অবস্থান করেন বেশ কয়েকদিন। সেখানে কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা জেলার বেশ কয়েকটি স্কুলে অসংখ্য বাচ্চাদের বিশ্বভ্রমণের গল্প শোনান। এসব নিয়ে খুলনা সহ দেশের অনেক সচেতন মহল নিজেদেরকে আতঙ্কিত মনে করছেন। বেশ কয়েকজন খুলনাবাসী জানিয়েছেন কাজী আসমা আজমেরী খুলনায় এসে দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কয়েকদিন আগেই তিনি ইউরোপ সফর করে এসেছেন তাই আমাদের খুব ভয় হচ্ছে যে পুরো খুলনায় তিনি মহামারী ছড়াতে পারেন। অপরদিকে এলাকাবাসী কারেন্ট আইন না মানার বিষয়ে তাগিদ দিলে তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে সে সমস্ত লোকজনকে চাঁদাবাজ মেনশন করে পোস্ট দিয়েছেন দেখা গেছে।

সর্বশেষ গতকাল ২৫ শে মার্চ ঢাকাতে অবস্থান শেষে একটি লরিতে আবারও খুলনায় ফিরেছেন তিনি। এ সময় ঢাকায় অসংখ্য মানুষের গণজমায়েত দেখে তিনি নিজেও ফেসবুকে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট করেছেন। অথচ তিনি নিজেই ইউরোপ ভ্রমণ করে দেশে এসে আই সলিউশন বা হোম কোয়ারান্টাইন না না মেনে বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে কাজী আসমা আজমেরী ফেসবুক ওয়ালে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, দেশের বাইরে থেকে আসার পরে ফেসবুক লাইভ পোস্টে তিনি বলছেন ঠান্ডা লেগে তার গলাটা ব্যথা গলা ভেঙে গেছে। তাই কথা ঠিকমত কেউ বুঝে কিনা তিনি বলতে পারছেন না!

দেশে অবস্থানের এসময়টা তিনি অসংখ্য মানুষের সাথে সাক্ষাত করেছেন। দেশে আসার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে র সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন কাজী আজমিরার দেশে আসার পরে হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন দপ্তর বিভিন্ন স্কুলে বাচ্চাদের সাথে নিয়মিত মিসেস সেন বিষয়টি এখন অনেকের মাঝি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কাজী আসমা আজমেরী কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যখন দেশে এসেছি তখন শুধু চিনে করনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। তবে তিনি দেশে আসার পরে কোন মেডিকেল চেকআপ করেছিলেন কি-না এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।