ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় আসকের উদ্বেগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০ ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা; 
মানবজমিনের সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনায় একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসক গভীর উদ্বেগ এবং মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আসক আরও জানায়, গত ৯ মার্চ রাতে মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মানহানির অভিযোগ করে নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে মানবজমিন সম্পাদক বলেছেন, তার পত্রিকার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাই কারও মানহানি হওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে এ মামলা করার পর থেকে অন্যতম অভিযুক্ত আলোকচিত্রী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। আসক কাজলকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

উল্লেখ্য, ডিজিটালনিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই আসক উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। কেননা আইনটির বেশ কয়েকেটি ধারা জাতীয়ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্য এবং মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সহজে ব্যবহার করা যায়। আইনটি অনুমোদনের পর থেকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় আসকের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ১০:২২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা; 
মানবজমিনের সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনায় একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসক গভীর উদ্বেগ এবং মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আসক আরও জানায়, গত ৯ মার্চ রাতে মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মানহানির অভিযোগ করে নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে মানবজমিন সম্পাদক বলেছেন, তার পত্রিকার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাই কারও মানহানি হওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে এ মামলা করার পর থেকে অন্যতম অভিযুক্ত আলোকচিত্রী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। আসক কাজলকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

উল্লেখ্য, ডিজিটালনিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই আসক উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। কেননা আইনটির বেশ কয়েকেটি ধারা জাতীয়ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্য এবং মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সহজে ব্যবহার করা যায়। আইনটি অনুমোদনের পর থেকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।