ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




এবার কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও তার সুন্দরী মেয়ের বিয়ে বানিজ্য ফাঁস!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে পাপিয়ার অশ্লীল রসায়নের যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিকক  তখনই আরেক কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিনের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সুন্দরী মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা (২৯)’র ভয়াবহ বিয়ে প্রতারণা ফাঁস।

লন্ডন প্রবাসীকে ছলে বলে কৌশলে ও অসহায়ত্ব দেখিয়ে সুন্দরের মায়ায় ফাঁসিয়ে গত ১৬ মার্চ ২০১৮ তে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীর সুন্দরী মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা। গত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনে রফিকুর রহমানের রেস্টুরেন্টে চাকুরির জন্য আসেন রাজিয়া তখনই পরিচয় হয় লন্ডন প্রবাসী রফিকুর রহমানের সাথে। যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নাজমা পারভীন এর সুন্দরী রাজিয়া তার অসহায় অবস্থা ও সমস্যার কথা বলে রফিকুরের সাথে প্রায়শই যোগাযোগ করতেন এক পর্যায়ে রাজিয়াকে তার রেস্টুরেন্টে চাকুরী দেয় রফিকুর। পরে কৌশলে সুন্দরী রাজিয়া তার প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা ও থাকা খাওয়ার সুবিধা সহ আরও অনেক কিছু ভোগ করেন। জমতে থাকে রাজিয়ার প্রতারণাময় প্রেমের রসায়ন কখনোই প্রবাসী রফিকুর রহমান বুঝতে পারেননি যে কোন প্রতারণার জ্বালে ফেঁসেছেন তিনি। প্রেমের খেলায় অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাজিয়াকে প্রচন্ড বিশ্বাস ও ভালোবেসে ফেলেন লন্ডন প্রবাসী রফিকুর। পরে রাজিয়া রফিকুরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এই প্রস্তাব গ্রহণও করেন তিনি। তবে একটুও বুঝতে পারেনি চতুর রাজিয়া সুলতানার প্রতারণার কৌশল।

যেহেতু লন্ডনে অবৈধভাবে থাকতে খুবই সমস্যা হচ্ছিলো তাই রাজিয়ার ইচ্ছায় রফিকুর তাকে দেশে গিয়ে বিয়ে করে লন্ডনে বৈধ নাগরিক করে নিয়ে আসার কথা দেয়। সে কথা অনুযায়ী তারা গত ১৬ ই মার্চ ২০১৮ তে ঢাকায় এসে দশ লক্ষ টাকা দেনমোহরে শাহিন কলেজ কমপ্লেক্স কাজী অফিসে বিয়ে করেন। রাজিয়ার ইচ্ছে অনুযায়ী থাকার জন্য বনানীতে ২৫ শত স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানেই শুরু হয় দুজনের নতুন সংসার। বেশ ভালোই চলছিলো সংসার। তখনও ক্ষুন অক্ষরেও প্রতারণা বুঝতে পারেন নি লন্ডন প্রবাসী রফিকুর। ব্যাবসার কাজে লন্ডনে আসা যাওয়ার মাঝেই থাকতেন স্বামী রফিকুর তাই দেশের সকল ব্যাবসার ভার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার দ্বায়িত্ব দেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিমাসে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ দিতেন স্বামী রফিকুর। এছাড়াও দেশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে বেহিসেবে টাকা খরচ করতেন মা ও মেয়ে। কিভাবে লন্ডনপ্রবাসী স্ত্রীকে টাকা পাঠিয়েছেন সে ধরনের তথ্য প্রমাণ ও গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। মা আর মেয়ে জামাইয়ের টাকায় সারাক্ষণ গাড়িতে করে দাপিয়ে বেড়াতেন রাজধানীর অভিজাত এলাকা ও রেস্তোরাঁয়। এমন করে কয়েক মাস কাটার পরই বেরিয়ে আসে রাজিয়ার ও তার পরিবারের ভয়াবহ প্রতারণার রুপ। কারনে অকারণে টাকার প্রয়োজন দেখানো সহ বিভিন্ন ঝামেলা করতে থাকেন স্ত্রী রাজিয়া। পরে হঠাৎ করেই ১ লা জানুয়ারী সন্ধ্যায় বনানী বাসার থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী কাগজ পত্র নিয়ে তার মায়ের বাসায় চলে যান। বাড়ির দারোয়ান ও কেয়ারটেকার বাঁধা দিলেও মানেননি তিনি উল্টো তাদেরকে হুমকি দেন ভয়ে তারা আর কিছুই বলতে পারেননি।

এসব খবর শুনে ১৫ জানুয়ারী স্বামী রফিকুর রহমান ঢাকায় ফিরে আসেন। স্ত্রী রাজিয়াকে বিমানবন্দর আসতে বললেও আসেনি এমনকি বাসাও আসেননি। তবে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতেন।  তার সমস্যা জানতে চাইলে, তিনি তার মায়ের দোহাই দিয়ে বলেন, লন্ডনের ভিসা না হলে তার মা তাকে যেতে দিবেন না। কোনো কথাই তার এই ছলচাতুরী আর মান ভাঙতে পারেনি। এর মধ্যেও টাকা নেয়া বন্ধ হয় নাই। এরপর থেকে ঠিক মতো ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেয় প্রায়। কয়েকদিন পরে রাজিয়ার মা যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিন ফোন রিসিভ করে অকথ্য গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন তার মেয়েকে ভিসা না করে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার অবস্থা খারাপ করে দিবে।

লন্ডন প্রবাসী স্বামী রফিকুর রহমান জানান, সর্বশেষ তার স্ত্রী রাজিয়া ৩০ জানুয়ারি রাতে তার বনানীর বাসায় এসে একান্তে কয়েক ঘণ্টা সময় কাটিয়ে যান এবং বলেন তার মা কিছু দিনের জন্য তাকে কোথাও নিয়ে জেতে পারেন । ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে রাজিয়ার ফোন ও সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ পাওয়া গেলে পাগলের মতো তার স্ত্রীকে খুজতে থাকে । এবং রাজিয়ার মাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আবার হুমকি দেন। তার বড় বোনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কয়েকদিন রাজিয়াকে একা থাকতে দাও, সময় হলে সে যোগাযোগ করবে । পরে  খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা পর্তুগাল প্রবাসী অন্য এক ছেলেকে, প্রথম বিবাহ গোপন করে কুমারী সেজে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ লক্ষ টাকা কাবিনে আমতলী মহাখালী কাজী অফিসে বিয়ে করেন এবং পর্তুগালের ঐ নাগরিক ছেলেকে নিয়ে রাঙ্গামাটি ঘুরতে গেছেন এমন প্রতারণার কাহিনি শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পরে রফিকুরের। পরে তার বড় বোনের সাথে আবার যোগাযোগ করলে সে রাজিয়ার আরেকটি বিয়ের কথা অস্বীকার করে। স্ত্রীর ও তার ফ্যামিলির এসব কার্যকলাপে ভয়াবহ প্রতারণার বিষয় বুঝতে পেরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি। পরে পর্তুগালের ঐ নাগরিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসব কিছুই জানতেন না এবং মা মেয়ে মিলে তার কাছে থেকে অনেক টাকা নিয়েছে বলে জানান। পরের দিন থেকে সেই ছেলেও কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এদিকে প্রবাসী রফিকুর রহমান মামলার কথা শুনে রাজিয়ার মা যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিন দলীয় লোকজন নিয়ে রফিকুরের খোঁজে তার বন্ধর বাসায় গিয়ে হুমকি ধামকি দেয় ও হামলাও চালায়।

এসমস্ত বিয়ে প্রতারণার বিষয় নেত্রী নাজমা পারভিনকে মুঠোফোন জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ ও মামলা সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য না করে প্রতিবেদককে অসামাজিক ভাষায় কথা বলেন এবং মামলা করারও হুমকি দেন। আরও বলেন আমার ও আমার মেয়ের বিষয় সংবাদ লেখায় সাহস কে দিয়েছে? তোমার পুরো নাম কি? বাবার নাম কি? এনআইডি নাম্বার দাও ইত্যাদি ইত্যাদি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




এবার কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও তার সুন্দরী মেয়ের বিয়ে বানিজ্য ফাঁস!

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারাদেশে পাপিয়ার অশ্লীল রসায়নের যখন আলোচনা তুঙ্গে ঠিকক  তখনই আরেক কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিনের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সুন্দরী মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা (২৯)’র ভয়াবহ বিয়ে প্রতারণা ফাঁস।

লন্ডন প্রবাসীকে ছলে বলে কৌশলে ও অসহায়ত্ব দেখিয়ে সুন্দরের মায়ায় ফাঁসিয়ে গত ১৬ মার্চ ২০১৮ তে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীর সুন্দরী মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা। গত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লন্ডনে রফিকুর রহমানের রেস্টুরেন্টে চাকুরির জন্য আসেন রাজিয়া তখনই পরিচয় হয় লন্ডন প্রবাসী রফিকুর রহমানের সাথে। যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নাজমা পারভীন এর সুন্দরী রাজিয়া তার অসহায় অবস্থা ও সমস্যার কথা বলে রফিকুরের সাথে প্রায়শই যোগাযোগ করতেন এক পর্যায়ে রাজিয়াকে তার রেস্টুরেন্টে চাকুরী দেয় রফিকুর। পরে কৌশলে সুন্দরী রাজিয়া তার প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে নগদ অর্থ সহায়তা ও থাকা খাওয়ার সুবিধা সহ আরও অনেক কিছু ভোগ করেন। জমতে থাকে রাজিয়ার প্রতারণাময় প্রেমের রসায়ন কখনোই প্রবাসী রফিকুর রহমান বুঝতে পারেননি যে কোন প্রতারণার জ্বালে ফেঁসেছেন তিনি। প্রেমের খেলায় অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রাজিয়াকে প্রচন্ড বিশ্বাস ও ভালোবেসে ফেলেন লন্ডন প্রবাসী রফিকুর। পরে রাজিয়া রফিকুরকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এই প্রস্তাব গ্রহণও করেন তিনি। তবে একটুও বুঝতে পারেনি চতুর রাজিয়া সুলতানার প্রতারণার কৌশল।

যেহেতু লন্ডনে অবৈধভাবে থাকতে খুবই সমস্যা হচ্ছিলো তাই রাজিয়ার ইচ্ছায় রফিকুর তাকে দেশে গিয়ে বিয়ে করে লন্ডনে বৈধ নাগরিক করে নিয়ে আসার কথা দেয়। সে কথা অনুযায়ী তারা গত ১৬ ই মার্চ ২০১৮ তে ঢাকায় এসে দশ লক্ষ টাকা দেনমোহরে শাহিন কলেজ কমপ্লেক্স কাজী অফিসে বিয়ে করেন। রাজিয়ার ইচ্ছে অনুযায়ী থাকার জন্য বনানীতে ২৫ শত স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানেই শুরু হয় দুজনের নতুন সংসার। বেশ ভালোই চলছিলো সংসার। তখনও ক্ষুন অক্ষরেও প্রতারণা বুঝতে পারেন নি লন্ডন প্রবাসী রফিকুর। ব্যাবসার কাজে লন্ডনে আসা যাওয়ার মাঝেই থাকতেন স্বামী রফিকুর তাই দেশের সকল ব্যাবসার ভার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার দ্বায়িত্ব দেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিমাসে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ দিতেন স্বামী রফিকুর। এছাড়াও দেশের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে বেহিসেবে টাকা খরচ করতেন মা ও মেয়ে। কিভাবে লন্ডনপ্রবাসী স্ত্রীকে টাকা পাঠিয়েছেন সে ধরনের তথ্য প্রমাণ ও গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। মা আর মেয়ে জামাইয়ের টাকায় সারাক্ষণ গাড়িতে করে দাপিয়ে বেড়াতেন রাজধানীর অভিজাত এলাকা ও রেস্তোরাঁয়। এমন করে কয়েক মাস কাটার পরই বেরিয়ে আসে রাজিয়ার ও তার পরিবারের ভয়াবহ প্রতারণার রুপ। কারনে অকারণে টাকার প্রয়োজন দেখানো সহ বিভিন্ন ঝামেলা করতে থাকেন স্ত্রী রাজিয়া। পরে হঠাৎ করেই ১ লা জানুয়ারী সন্ধ্যায় বনানী বাসার থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী কাগজ পত্র নিয়ে তার মায়ের বাসায় চলে যান। বাড়ির দারোয়ান ও কেয়ারটেকার বাঁধা দিলেও মানেননি তিনি উল্টো তাদেরকে হুমকি দেন ভয়ে তারা আর কিছুই বলতে পারেননি।

এসব খবর শুনে ১৫ জানুয়ারী স্বামী রফিকুর রহমান ঢাকায় ফিরে আসেন। স্ত্রী রাজিয়াকে বিমানবন্দর আসতে বললেও আসেনি এমনকি বাসাও আসেননি। তবে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা করতেন।  তার সমস্যা জানতে চাইলে, তিনি তার মায়ের দোহাই দিয়ে বলেন, লন্ডনের ভিসা না হলে তার মা তাকে যেতে দিবেন না। কোনো কথাই তার এই ছলচাতুরী আর মান ভাঙতে পারেনি। এর মধ্যেও টাকা নেয়া বন্ধ হয় নাই। এরপর থেকে ঠিক মতো ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেয় প্রায়। কয়েকদিন পরে রাজিয়ার মা যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিন ফোন রিসিভ করে অকথ্য গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন তার মেয়েকে ভিসা না করে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার অবস্থা খারাপ করে দিবে।

লন্ডন প্রবাসী স্বামী রফিকুর রহমান জানান, সর্বশেষ তার স্ত্রী রাজিয়া ৩০ জানুয়ারি রাতে তার বনানীর বাসায় এসে একান্তে কয়েক ঘণ্টা সময় কাটিয়ে যান এবং বলেন তার মা কিছু দিনের জন্য তাকে কোথাও নিয়ে জেতে পারেন । ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে রাজিয়ার ফোন ও সকল যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ পাওয়া গেলে পাগলের মতো তার স্ত্রীকে খুজতে থাকে । এবং রাজিয়ার মাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আবার হুমকি দেন। তার বড় বোনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কয়েকদিন রাজিয়াকে একা থাকতে দাও, সময় হলে সে যোগাযোগ করবে । পরে  খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা পর্তুগাল প্রবাসী অন্য এক ছেলেকে, প্রথম বিবাহ গোপন করে কুমারী সেজে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ লক্ষ টাকা কাবিনে আমতলী মহাখালী কাজী অফিসে বিয়ে করেন এবং পর্তুগালের ঐ নাগরিক ছেলেকে নিয়ে রাঙ্গামাটি ঘুরতে গেছেন এমন প্রতারণার কাহিনি শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পরে রফিকুরের। পরে তার বড় বোনের সাথে আবার যোগাযোগ করলে সে রাজিয়ার আরেকটি বিয়ের কথা অস্বীকার করে। স্ত্রীর ও তার ফ্যামিলির এসব কার্যকলাপে ভয়াবহ প্রতারণার বিষয় বুঝতে পেরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি। পরে পর্তুগালের ঐ নাগরিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসব কিছুই জানতেন না এবং মা মেয়ে মিলে তার কাছে থেকে অনেক টাকা নিয়েছে বলে জানান। পরের দিন থেকে সেই ছেলেও কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এদিকে প্রবাসী রফিকুর রহমান মামলার কথা শুনে রাজিয়ার মা যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা পারভিন দলীয় লোকজন নিয়ে রফিকুরের খোঁজে তার বন্ধর বাসায় গিয়ে হুমকি ধামকি দেয় ও হামলাও চালায়।

এসমস্ত বিয়ে প্রতারণার বিষয় নেত্রী নাজমা পারভিনকে মুঠোফোন জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ ও মামলা সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য না করে প্রতিবেদককে অসামাজিক ভাষায় কথা বলেন এবং মামলা করারও হুমকি দেন। আরও বলেন আমার ও আমার মেয়ের বিষয় সংবাদ লেখায় সাহস কে দিয়েছে? তোমার পুরো নাম কি? বাবার নাম কি? এনআইডি নাম্বার দাও ইত্যাদি ইত্যাদি।