ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ভারতের কলেজে ছাত্রীদের নগ্ন করার প্রতিবাদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মস্থান গুজরাট রাজ্যের ভুজ শহরে মেয়েদের একটি কলেজে শিক্ষার্থীদের নগ্ন করার প্রতিবাদ হয়েছে। ওই কলেজের বাগানে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড পড়ে থাকায় তাদের বিবস্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলে ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে এক এক করে ৬৮ জন শিক্ষার্থীকে নগ্ন হতে বলেন। ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের যে অবমাননা সহ্য করতে হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

কলেজের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব হলে মেয়েরা হোস্টেলে থাকতে পারে না। সেই সময় তাদের বেসমেন্টে (ভবনের নিচে) থাকতে হয়। তাদের রান্নাঘর ও মন্দিরে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এছাড়া ক্লাস চলাকালীন একেবারে পেছনের সারিতে বসতে হয়। এমনকী অন্য ছাত্র ছাত্রীদের স্পর্শও করতে দেওয়া হয় না। খেতে হয় আলাদা।

গত সোমবার হোস্টেলটির কর্মকর্তা কলেজের অধ্যক্ষর কাছে অভিযোগ করেন, বেশ কিছু মেয়ে ঋতুস্রাবের সময় ধর্মীয় নীতি লঙ্ঘন করছে। এরপরই ছাত্রীদেরকে ক্লাস থেকে টেনে বের করে বাথরুমে নিয়ে তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। ছাত্রীদের পরিধেয় পায়জামা ও অন্তর্বাস খুলিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন নারী শিক্ষকরা।

হেনস্তার শিকার কলেজটির এক ছাত্রী বিবিসিকে জানান, ঋতুস্রাব চলছে এমন মেয়েদের চিহ্নিত করতে একটি নিবন্ধন খাতা রেখেছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। যাদের মাসিক চলছে,তাদের ওই খাতায় নাম লিখতে হয়। এক ছাত্রীর বাবা বলেন, তিনি হোস্টেলে গেলে তার মেয়েসহ কয়েকজন ছাত্রী তার কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে কষ্টে থাকার কথা জানায়।

স্বামী নারায়ণ নামে একটি রক্ষণশীল কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী কলেজটি পরিচালনা করে। লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে তাদের অভিজাত মন্দির রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি দেয়া হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে তাদের কাছ থেকে।

কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রভীন পিন্ডোরিয়া বলেছেন, ‘ভর্তির সময় ছাত্রীদের কলেজের নিয়মকানুন জানানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনিক কমিটির মিটিং ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পরদিন কিছু ছাত্রী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভও করে কলেজ কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভারতের কলেজে ছাত্রীদের নগ্ন করার প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মস্থান গুজরাট রাজ্যের ভুজ শহরে মেয়েদের একটি কলেজে শিক্ষার্থীদের নগ্ন করার প্রতিবাদ হয়েছে। ওই কলেজের বাগানে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড পড়ে থাকায় তাদের বিবস্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলে ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া শাহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে এক এক করে ৬৮ জন শিক্ষার্থীকে নগ্ন হতে বলেন। ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের যে অবমাননা সহ্য করতে হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

কলেজের নিয়ম অনুযায়ী, ঋতুস্রাব হলে মেয়েরা হোস্টেলে থাকতে পারে না। সেই সময় তাদের বেসমেন্টে (ভবনের নিচে) থাকতে হয়। তাদের রান্নাঘর ও মন্দিরে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এছাড়া ক্লাস চলাকালীন একেবারে পেছনের সারিতে বসতে হয়। এমনকী অন্য ছাত্র ছাত্রীদের স্পর্শও করতে দেওয়া হয় না। খেতে হয় আলাদা।

গত সোমবার হোস্টেলটির কর্মকর্তা কলেজের অধ্যক্ষর কাছে অভিযোগ করেন, বেশ কিছু মেয়ে ঋতুস্রাবের সময় ধর্মীয় নীতি লঙ্ঘন করছে। এরপরই ছাত্রীদেরকে ক্লাস থেকে টেনে বের করে বাথরুমে নিয়ে তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। ছাত্রীদের পরিধেয় পায়জামা ও অন্তর্বাস খুলিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখেন নারী শিক্ষকরা।

হেনস্তার শিকার কলেজটির এক ছাত্রী বিবিসিকে জানান, ঋতুস্রাব চলছে এমন মেয়েদের চিহ্নিত করতে একটি নিবন্ধন খাতা রেখেছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। যাদের মাসিক চলছে,তাদের ওই খাতায় নাম লিখতে হয়। এক ছাত্রীর বাবা বলেন, তিনি হোস্টেলে গেলে তার মেয়েসহ কয়েকজন ছাত্রী তার কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে কষ্টে থাকার কথা জানায়।

স্বামী নারায়ণ নামে একটি রক্ষণশীল কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী কলেজটি পরিচালনা করে। লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে তাদের অভিজাত মন্দির রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি দেয়া হতে পারে বলেও আভাস মিলেছে তাদের কাছ থেকে।

কলেজের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রভীন পিন্ডোরিয়া বলেছেন, ‘ভর্তির সময় ছাত্রীদের কলেজের নিয়মকানুন জানানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশাসনিক কমিটির মিটিং ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পরদিন কিছু ছাত্রী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভও করে কলেজ কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করে।