ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




৫ দিনে পুঁজিবাজারে চার হাজার কোটি টাকা উধাও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদঃ 

আগের সপ্তাহে বড় উত্থানের পর গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হয়। এক সপ্তাহে চার হাজার কোটি টাকার ওপরে হারান বিনিয়োগকারীরা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ফলে বিনিয়োগকারীরা এ অর্থ হারান, বলছেন বিশ্লেষকরা।

গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে বাড়ে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়।

পতনের বাজারে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে কমে ২১৮টির। ২২টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। এর আগের সপ্তাহে ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে কমে ২৩টির। অপরিবর্তিত থাকে সাতটির দাম।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় তিন লাখ ৪০ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে চার হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা এ টাকা হারালেন।

বাজার মূলধন হারানোর সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৬৪ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকেরও। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ১৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

ডিএসইর অপর মূল্য সূচক ডিএসই শরিয়াহ্‌ কমেছে ৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৯৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এদিকে পতনের বাজারে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে আট কোটি ছয় লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় দুই হাজার ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘বি’ গ্রম্নপের অবদান ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। ‘জেড’ গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রম্নপের অবদান ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৫৬ কোটি ২১ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এসএস স্টিল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি এবং পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্স।

এদিকে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।

এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে চাননি। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৪১ টাকা ৬০ পয়সা।

৩৭৫ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ৭০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং দশমিক ২৯ শতাংশ আছে বিদেশিদের কাছে।

বিএসআরএম স্টিলের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ শতাংশ।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালের ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ্‌ ফান্ডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এমআই সিমেন্টের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং জেমিনি সি ফুডের ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম কমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৫ দিনে পুঁজিবাজারে চার হাজার কোটি টাকা উধাও

আপডেট সময় : ১০:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সকালের সংবাদঃ 

আগের সপ্তাহে বড় উত্থানের পর গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে আবার দরপতন হয়। এক সপ্তাহে চার হাজার কোটি টাকার ওপরে হারান বিনিয়োগকারীরা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ফলে বিনিয়োগকারীরা এ অর্থ হারান, বলছেন বিশ্লেষকরা।

গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে বাড়ে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়।

পতনের বাজারে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে কমে ২১৮টির। ২২টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। এর আগের সপ্তাহে ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। বিপরীতে কমে ২৩টির। অপরিবর্তিত থাকে সাতটির দাম।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় তিন লাখ ৪০ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে চার হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা এ টাকা হারালেন।

বাজার মূলধন হারানোর সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে। এর আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩৬৪ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে পতন হয় ডিএসইর বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকেরও। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ১৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

ডিএসইর অপর মূল্য সূচক ডিএসই শরিয়াহ্‌ কমেছে ৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৯৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এদিকে পতনের বাজারে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে আট কোটি ছয় লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় দুই হাজার ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় দুই হাজার ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘বি’ গ্রম্নপের অবদান ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। ‘জেড’ গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৯০ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রম্নপের অবদান ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের শেয়ার লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৫৬ কোটি ২১ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এসএস স্টিল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি এবং পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্স।

এদিকে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে।

এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে চাননি। এতে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৪১ টাকা ৬০ পয়সা।

৩৭৫ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ৭০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং দশমিক ২৯ শতাংশ আছে বিদেশিদের কাছে।

বিএসআরএম স্টিলের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ শতাংশ।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সের ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালের ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ্‌ ফান্ডের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, এমআই সিমেন্টের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং জেমিনি সি ফুডের ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ দাম কমেছে।