ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




কেন্দ্রে উপস্থিতি নিয়ে জনমনে সংশয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ ৫১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ  আগামীকাল ১ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গত ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ইসির আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জানুয়ারি থেকে প্রচারে নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ২০ দিন ধরে জনসংযোগ-প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের মুখ্য অনুরোধ ছিল তারা যেন ভোট কেন্দ্রে যান। নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের প্রতিশ্রম্নতিও দেওয়া হচ্ছে। দুই সিটির মেয়রপ্রার্থীরা গণমাধ্যমকে একই সুরে বারবার প্রতিশ্রম্নতি, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়গ্রস্ত। বিশেষ করে বিএনপির দুই প্রার্থী প্রতিদিন বলছেন, ‘নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের সুরক্ষা দেব।’

এদিকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। ভোটারদের

ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অভয় দিচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দুই সিটি। ভোটের দিন সকাল থেকেই মাঠে থাকবে ৬৫ পস্নাটুন বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকেই বিজিবির সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। প্রতি দুই সাধারণ ওয়ার্ডে ১ পস্নাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং এবংর্ যাবের আলাদা টিম থাকবে। ভোটের দিন বহিরাগতদের রাজধানী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিকেন্দ্রে দুজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। সব কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সিটি নির্বাচনে জনস্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকদের বৃহস্পতিবার থেকে ৩ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইসির নির্দেশে ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে নির্বাচনে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ২৬ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের আইনানুগ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। এ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

তা সত্ত্বেও ভোটার উপস্থিতি কি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হবে? সাধারণ জনগণের মাঝে ঘুরেফিরে এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন, ভোটার উপস্থিতি হবে তো?

রাজধানীর টিকাটুলি এলাকার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মোস্তফা কামাল বলেন, ভোট দিতে যাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। যেতেও পারি নাও যেতে পারি। ওয়ারি এলাকার ভোটার ব্যাংকার এমদাদ আলী বলেন, ‘আমাদের ফ্যামিলিতে ৯টি ভোট। যেভাবে মারামারি-সংঘর্ষ হলো তাতে ভরসা পাচ্ছি না। ভোটের দিন সকালে খবর নিব। ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি থাকলে যাব।’ নয়াপল্টনের পুরানো বাসিন্দা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। ভোট কেন্দ্রে যাইনি অনেক বছর। আমাদের মতো অনেকের ধারণা যিনি পাস করবেন তিনি তো পাস করবেনই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কী ভোট দিতে পারব? তবুও যাব এবার।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কেন্দ্রে উপস্থিতি নিয়ে জনমনে সংশয়

আপডেট সময় : ১১:৫৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ  আগামীকাল ১ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গত ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। ইসির আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জানুয়ারি থেকে প্রচারে নামেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ২০ দিন ধরে জনসংযোগ-প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের মুখ্য অনুরোধ ছিল তারা যেন ভোট কেন্দ্রে যান। নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের প্রতিশ্রম্নতিও দেওয়া হচ্ছে। দুই সিটির মেয়রপ্রার্থীরা গণমাধ্যমকে একই সুরে বারবার প্রতিশ্রম্নতি, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়গ্রস্ত। বিশেষ করে বিএনপির দুই প্রার্থী প্রতিদিন বলছেন, ‘নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, জীবন দিয়ে হলেও আপনাদের সুরক্ষা দেব।’

এদিকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। ভোটারদের

ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অভয় দিচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দুই সিটি। ভোটের দিন সকাল থেকেই মাঠে থাকবে ৬৫ পস্নাটুন বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকেই বিজিবির সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। প্রতি দুই সাধারণ ওয়ার্ডে ১ পস্নাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং এবংর্ যাবের আলাদা টিম থাকবে। ভোটের দিন বহিরাগতদের রাজধানী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

প্রতিকেন্দ্রে দুজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। সব কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ভোটারদের নিরাপত্তা আর ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সিটি নির্বাচনে জনস্বার্থে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সধারী অস্ত্রের মালিকদের বৃহস্পতিবার থেকে ৩ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইসির নির্দেশে ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে নির্বাচনে নিয়োজিত সব কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ২৬ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের আইনানুগ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে। এ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

তা সত্ত্বেও ভোটার উপস্থিতি কি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হবে? সাধারণ জনগণের মাঝে ঘুরেফিরে এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন, ভোটার উপস্থিতি হবে তো?

রাজধানীর টিকাটুলি এলাকার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মোস্তফা কামাল বলেন, ভোট দিতে যাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। যেতেও পারি নাও যেতে পারি। ওয়ারি এলাকার ভোটার ব্যাংকার এমদাদ আলী বলেন, ‘আমাদের ফ্যামিলিতে ৯টি ভোট। যেভাবে মারামারি-সংঘর্ষ হলো তাতে ভরসা পাচ্ছি না। ভোটের দিন সকালে খবর নিব। ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি থাকলে যাব।’ নয়াপল্টনের পুরানো বাসিন্দা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। ভোট কেন্দ্রে যাইনি অনেক বছর। আমাদের মতো অনেকের ধারণা যিনি পাস করবেন তিনি তো পাস করবেনই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কী ভোট দিতে পারব? তবুও যাব এবার।’