ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ইয়াছির আরাফাত; 
গুজব হল জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো বিবৃতি, যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ভুল ও অসঙ্গত তথ্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয় গুজব।

ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বোঝায় এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে বোঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না।

কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’

তবে এই প্রচার হওয়াটা নির্ভর করে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে গুজব।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে গুজবের সৃষ্টি বা প্রসার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কারণ তখনকার তথ্য যোগাযোগব্যবস্থা বর্তমান সময়ের মতো এত বেশি উন্নত ছিল না। ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে তথ্য যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে গুজব মহামারী আকার ধারণ করছে খুব সহজেই।

জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা হুজুগে, এটা অস্বীকার করতে পারি না।

কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাক বা না থাক, কোনো তথ্য সঠিক নাকি ভুল তা যাচাই-বাছাই না করে হুজুগের বশে ভাইরাল করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল সবসময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গুজবকে ব্যবহার করে থাকে। রাজনৈতিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত স্বার্থে সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে।

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি মহল ছড়িয়েছিল লবণ সংকটের গুজব। গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।

গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে যেভাবে ভাইরাস দমন করা হয়, তেমনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুজবও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গুজবের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, বর্তমানে যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় সেহেতু সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু প্রচার না করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক স্বার্থে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার না করা, ‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ এমন ধরনের বিশ্লেষণ পরিহার করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা, মানুষের কমনসেন্স উন্নত করা- ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করলে গুজব নামক সামাজিক ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

ইয়াছির আরাফাত : প্রকৌশলী; নির্বাহী পরিচালক, সফটম্যাক্স

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

ইয়াছির আরাফাত; 
গুজব হল জনসাধারণের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কোনো বিবৃতি, যার সত্যতা অল্প সময়ের মধ্যে অথবা কখনই নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। ভুল ও অসঙ্গত তথ্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয় গুজব।

ভুল তথ্য বলতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যকে বোঝায় এবং অসঙ্গত তথ্য বলতে বোঝায় ইচ্ছাকৃতভাবে ভ্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা। গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না।

কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’

তবে এই প্রচার হওয়াটা নির্ভর করে তথ্য যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ হবে তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে গুজব।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে গুজবের সৃষ্টি বা প্রসার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, কারণ তখনকার তথ্য যোগাযোগব্যবস্থা বর্তমান সময়ের মতো এত বেশি উন্নত ছিল না। ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে তথ্য যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারে গুজব মহামারী আকার ধারণ করছে খুব সহজেই।

জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা হুজুগে, এটা অস্বীকার করতে পারি না।

কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাক বা না থাক, কোনো তথ্য সঠিক নাকি ভুল তা যাচাই-বাছাই না করে হুজুগের বশে ভাইরাল করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল সবসময় নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য পরিকল্পিতভাবে গুজবকে ব্যবহার করে থাকে। রাজনৈতিক ও ব্যবসা সংক্রান্ত স্বার্থে সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে।

এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি একটি মহল ছড়িয়েছিল লবণ সংকটের গুজব। গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।

গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে যেভাবে ভাইরাস দমন করা হয়, তেমনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুজবও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

গুজবের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, বর্তমানে যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সক্রিয় সেহেতু সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু প্রচার না করা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক স্বার্থে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার না করা, ‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ এমন ধরনের বিশ্লেষণ পরিহার করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা, মানুষের কমনসেন্স উন্নত করা- ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করলে গুজব নামক সামাজিক ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করি।

ইয়াছির আরাফাত : প্রকৌশলী; নির্বাহী পরিচালক, সফটম্যাক্স