ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় মানুষের ঢল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নিউ ইয়র্ক  প্রতিনিধি|
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেসনের সাবেক মেয়র এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার বাদ এশা জামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম আবু জাফর বেগ জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজার পর মুক্তিযোদ্ধা কামাল সাইদ মোহন ও আবদুল মুকিত চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা মুড়িয়ে সাদেক হোসেন খোকাকে গার্ড অব অনার দেন। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে এবং বিএনপি নেতা আবদুস সালাম।
বক্তব্যে খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চান এবং তার বাবা-মায়ের ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনসুলেটের পক্ষ থেকে ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীম হোসেন বক্তব্য রাখেন। তিনি সাদেক হোসেন খোকাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং কোনও রাজনৈতিক পরিচয় না দেয়ায় হট্টগোল শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রবাসীরা এর প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে মসজিদের ইমাম ও বিএনপি নেতাদের বেগ পেতে হয়। এক পর্যায়ে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানাজায় নিউ ইয়র্কের সর্বস্তরের রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশ নেন।

নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় মানুষের ঢল

জানাজা শেষে আবারও সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ মর্গে রাগা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১ টায় এমিরেটস এয়ালাইন্সের ফ্লাইট ২০২-তে করে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। খোকার মরদেহের সঙ্গে যাবে তার স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলে।
জানাজায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও দলের অনেক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয় সময় রোববার দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে ম্যানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোয়েন ক্যাটারিং ক্যানসার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা। নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ অক্টোবর তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। আশির দশকে বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে আসেন বিএনপিতে। ওই সময় নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেটে বিএনপির কার্যালয় থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই অন্দোলনে ঢাকা মহানগর সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন খোকা।
১৯৯০ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পুরান ঢাকার মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন খোকা।
এসময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ঢাকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হলেও একমাত্র খোকা নির্বাচিত হন। দিনে দিনে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ঢাকার রাজনীতিতে খোকা ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেন।

পরে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রায় পাঁচ বছর একক নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হন। ওই সময় পুরান ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে দলকে শক্তিশালী করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
এর আগে ১৯৯৪ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের কাছে পরাজিত হন মির্জা আব্বাস। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য বিরোধীদল কঠোর আন্দোলন শুরু করলে ঢাকায় বিএনপি কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খোকাকে ১৯৯৬ সালে মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকার মেয়র ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় মানুষের ঢল

আপডেট সময় : ০৯:৫০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯

নিউ ইয়র্ক  প্রতিনিধি|
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেসনের সাবেক মেয়র এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার নামাজে জানাজা নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার বাদ এশা জামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম আবু জাফর বেগ জানাজায় ইমামতি করেন।
জানাজার পর মুক্তিযোদ্ধা কামাল সাইদ মোহন ও আবদুল মুকিত চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা মুড়িয়ে সাদেক হোসেন খোকাকে গার্ড অব অনার দেন। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাদেক হোসেন খোকার দুই ছেলে এবং বিএনপি নেতা আবদুস সালাম।
বক্তব্যে খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সবার কাছে তার বাবার জন্য দোয়া চান এবং তার বাবা-মায়ের ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনসুলেটের পক্ষ থেকে ফার্স্ট সেক্রেটারি শামীম হোসেন বক্তব্য রাখেন। তিনি সাদেক হোসেন খোকাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং কোনও রাজনৈতিক পরিচয় না দেয়ায় হট্টগোল শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রবাসীরা এর প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
পরিস্থিতি শান্ত করতে মসজিদের ইমাম ও বিএনপি নেতাদের বেগ পেতে হয়। এক পর্যায়ে সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানাজায় নিউ ইয়র্কের সর্বস্তরের রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশ নেন।

নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার জানাজায় মানুষের ঢল

জানাজা শেষে আবারও সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ মর্গে রাগা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১ টায় এমিরেটস এয়ালাইন্সের ফ্লাইট ২০২-তে করে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। খোকার মরদেহের সঙ্গে যাবে তার স্ত্রী ও তাদের দুই ছেলে।
জানাজায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট, মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, জিল্লুর রহমান জিল্লু, গিয়াস আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও দলের অনেক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয় সময় রোববার দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে ম্যানহাটানের মেমোরিয়াল স্লোয়েন ক্যাটারিং ক্যানসার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা। নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৮ অক্টোবর তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫২ সালের ১২ মে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। আশির দশকে বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে আসেন বিএনপিতে। ওই সময় নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেটে বিএনপির কার্যালয় থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই অন্দোলনে ঢাকা মহানগর সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন খোকা।
১৯৯০ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পুরান ঢাকার মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন খোকা।
এসময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ঢাকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হলেও একমাত্র খোকা নির্বাচিত হন। দিনে দিনে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ঢাকার রাজনীতিতে খোকা ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেন।

পরে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রায় পাঁচ বছর একক নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হন। ওই সময় পুরান ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে দলকে শক্তিশালী করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
এর আগে ১৯৯৪ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের কাছে পরাজিত হন মির্জা আব্বাস। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য বিরোধীদল কঠোর আন্দোলন শুরু করলে ঢাকায় বিএনপি কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খোকাকে ১৯৯৬ সালে মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকার মেয়র ছিলেন।