ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




‘বাংলাদেশের দর্শক অনেক বেশি ক্রেজি আর লাভিং’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

এদিকে বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত আছে দর্শনার। বিজ্ঞাপন চিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে পেয়েছেন পরিচিতি। সম্প্রতি তিনি লাদাখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইমরানের একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইমরানের গানের মডেল হলেন তিনি।

ইমরানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে টালিগঞ্জের এই মিষ্টি মেয়ে কথা বলেছেন সারাবাংলার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, কথায় কথায় তিনি নিজের ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ শুনেছেন তার সব কথা।

আবারও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইমরানের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলেন। এবারের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

ইমরান আমার খুব ভালো বন্ধু। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমরা প্রচুর আড্ডা দেই। গল্প করি। গান নিয়ে আলোচনা করি। ও আমাকে অনেক রকম গান শোনায়। এবার লাদাখে শুটিং করেছি। শুটিং পরিকল্পনার সময় ইমরান আমাকে বলেছিল, এর আগে বাংলাদেশের কোনো মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়নি লাদাখে। কাজের প্রতি ইমরানের ডেডিকেশনটা খুব ভালো লাগে। সবসময় নতুন কিছু করতে চায়। ভক্তদের কথা ভেবে কাজ করে।

গানের পাশাপাশি ইমরান মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। গায়ক ইমরান নাকি মডেল ইমরান বেশি এগিয়ে?
অবশ্যই গায়ক ইমরান এগিয়ে। গানের মাধ্যমেই আজকে সে এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে মডেল হিসেবে সে খারাপ না। ওর ভেতর ভালোকিছু করার চেষ্টা আছে। আগেরবারও কাজ করার সময় সেই চেষ্টা দেখেছি।

শুনেছি, জয়া আহসান নাকি আপনার সবচেয়ে পছন্দের অভিনেত্রী। এতো অভিনেত্রীর ভিড়ে জয়া আহসান ঠিক কি কারণে আপনার পছন্দের?

একমাত্র কারণ, অভিনয়। ওনার মতো এতো ভালো, এতো স্বাভাবিক অভিনয় খুব কম অভিনেত্রীকে করতে দেখেছি। পুরো ভারতে আমার দেখা কয়েকজন মেধাবী অভিনেত্রীর মধ্যে একজন জয়া। এছাড়া তার নজরকাড়া সৌন্দর্য্য তো আছেই। তার সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবার খুব সুন্দর ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব মিষ্টি মানুষ।

এবার আপনার দিকে ফোকাস দেয়া যাক। খুব অল্প সময়ে টালিগঞ্জের বাঘা বাঘা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তারা আপনার ওপর ভরসা করছেন। আপনার কেমন লাগে যখন শোনেন— দর্শনার ওপর ভরসা করা যায় বা ওই চরিত্রটি একমাত্র দর্শনাই ফুঁটিয়ে তুলতে পারবে?

পরিচালকের ভরসাটাই একজন শিল্পীর সবথেকে বড় পাওনা। যখন কাজ শেষ হয় তখন যিনি প্রথম প্রশংসা করেন তিনি হলেন পরিচালক। তারপর দর্শক প্রশংসা করেন। কোন পরিচালক যখন আমার ওপর ভরসা করেন, আমার জন্য চরিত্র ভাবেন তখন ভীষণ ভালো লাগে আমার। ব্যাপারাটা ভালো কাজ করতে আমাকে প্রচুর উৎসাহ দেয়। সেই সঙ্গে একটা দায়বদ্ধতাও কাজ করে। সেটা হলো–যে করেই হোক আমাকে চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলতে হবে। যেন পরিচালকের আস্থার প্রতিদান দিতে পারি।

অরিন্দম শীল, কমলেশ্বর মুখার্জী, অঞ্জন দত্ত— তিনজন বাঘা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। আবার তেলেগু ছবিতেও অভিনয় করেছেন। আপনি তো ছুটে চলেছেন রেসের ঘোড়ার মতো। সামনের লক্ষ্য কি?
ভালো ভালো কাজ করে যাওয়া আমার লক্ষ্য। আমি মনে করি, প্রত্যেক শিল্পীরই এরকম লক্ষ্য থাকে। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। আমি দুই দেশের সব মানুষের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাই তাদের কাছে।

বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছার কথা বললেন। কোন প্রস্তাব কি পেয়েছেন এরমধ্যে?
কয়েকটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। তারমধ্যে থেকে একটির কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। চূড়ান্ত না হওয়া অব্দি কিছু বলতে পারছি না। দেখা যাক কি হয়!

বাংলাদেশের ছবি সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন?
বাংলাদেশকে আমি আলাদা করে ধরতে চাই না। আমি বাংলা ছবি সম্পর্কে আমার ধারণা কথা বলতে চাই। বাংলায় অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। ‘ডুব’ নামে একটি ছবি অস্কারে অংশ নিলো। সেটার খবর জেনেছি। আরও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে, সেসব ছবির খবর রাখি। কারণ, আমি বাংলা ছবি ভালোবাসি।

আর হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়ে একটি কথা বলবো। পশ্চিমবঙ্গের দর্শকের চেয়ে বাংলাদেশের দর্শক সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলাদেশের দর্শক অনেক বেশি ক্রেজি আর লাভিং।

ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন আপনি। ভারতে ওয়েব সিরিজগুলোতে যৌনতার ছড়াছড়ি দেখা যায়। আপনার কাছে কি মনে হয়, এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে? সেন্সর করা উচিত?

সত্যি বলতে, এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। আই ক্যাচার হিসেবে এই মাধ্যমটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সেন্সরশীপ নিয়ে আমি কথা বলব না। কারণ, আমি এটাকে সাপোর্ট করি না। শিল্পের ক্ষেত্রে সেন্সর কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু যদি আমি প্র্যাকটিক্যালি দেখি তাহলে তো বলাই যায়, ইন্ডিয়াতে সেন্সরশীপ কাজ করে। তবে যেভাবে কিছু কিছু ওয়েব চ্যানেল সেক্সুয়ালিটি দেখাচ্ছে বা পাশবিক সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কাজ করছে, তাতে যেকোন সময় সেন্সরবোর্ড হস্তক্ষেপ করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বোল্ড ফটোশুট তো পুরুষের বুকে কাঁপন তুলে দেয়। এক সাক্ষাৎকারে আপনি আপনার শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথাও বলেছিলেন। শরীর নাকি অভিনয়— কোনটার গুণে দর্শনা দর্শকের কাছাকাছি পৌঁছাতে চায়?
(হাসি) অবশ্যই অভিনয় দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে যায়। শরীর যদি দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারতো, তাহলে এমন অনেক আছেন যারা জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারতেন। শরীর দিয়ে সবকিছু হয়ে গেলে আজ টাইগার শ্রফ আর নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মধ্যে পার্থক্যটা থাকতো না। তাহলে মানুষ টাইগার শ্রফের সিনেমা দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতো। নওয়াজকে লোকের ভালো লাগতো না। ইরফান, রাজ কুমার রাওকে ভালো লাগতো না। অভিনেত্রীদের কথা এখানে নাইবা বললাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘বাংলাদেশের দর্শক অনেক বেশি ক্রেজি আর লাভিং’

আপডেট সময় : ১২:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯

এদিকে বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত আছে দর্শনার। বিজ্ঞাপন চিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে পেয়েছেন পরিচিতি। সম্প্রতি তিনি লাদাখে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইমরানের একটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইমরানের গানের মডেল হলেন তিনি।

ইমরানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে টালিগঞ্জের এই মিষ্টি মেয়ে কথা বলেছেন সারাবাংলার সঙ্গে। শুধু তাই নয়, কথায় কথায় তিনি নিজের ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ শুনেছেন তার সব কথা।

আবারও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইমরানের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলেন। এবারের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

ইমরান আমার খুব ভালো বন্ধু। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমরা প্রচুর আড্ডা দেই। গল্প করি। গান নিয়ে আলোচনা করি। ও আমাকে অনেক রকম গান শোনায়। এবার লাদাখে শুটিং করেছি। শুটিং পরিকল্পনার সময় ইমরান আমাকে বলেছিল, এর আগে বাংলাদেশের কোনো মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়নি লাদাখে। কাজের প্রতি ইমরানের ডেডিকেশনটা খুব ভালো লাগে। সবসময় নতুন কিছু করতে চায়। ভক্তদের কথা ভেবে কাজ করে।

গানের পাশাপাশি ইমরান মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। গায়ক ইমরান নাকি মডেল ইমরান বেশি এগিয়ে?
অবশ্যই গায়ক ইমরান এগিয়ে। গানের মাধ্যমেই আজকে সে এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে মডেল হিসেবে সে খারাপ না। ওর ভেতর ভালোকিছু করার চেষ্টা আছে। আগেরবারও কাজ করার সময় সেই চেষ্টা দেখেছি।

শুনেছি, জয়া আহসান নাকি আপনার সবচেয়ে পছন্দের অভিনেত্রী। এতো অভিনেত্রীর ভিড়ে জয়া আহসান ঠিক কি কারণে আপনার পছন্দের?

একমাত্র কারণ, অভিনয়। ওনার মতো এতো ভালো, এতো স্বাভাবিক অভিনয় খুব কম অভিনেত্রীকে করতে দেখেছি। পুরো ভারতে আমার দেখা কয়েকজন মেধাবী অভিনেত্রীর মধ্যে একজন জয়া। এছাড়া তার নজরকাড়া সৌন্দর্য্য তো আছেই। তার সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে ততবার খুব সুন্দর ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব মিষ্টি মানুষ।

এবার আপনার দিকে ফোকাস দেয়া যাক। খুব অল্প সময়ে টালিগঞ্জের বাঘা বাঘা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তারা আপনার ওপর ভরসা করছেন। আপনার কেমন লাগে যখন শোনেন— দর্শনার ওপর ভরসা করা যায় বা ওই চরিত্রটি একমাত্র দর্শনাই ফুঁটিয়ে তুলতে পারবে?

পরিচালকের ভরসাটাই একজন শিল্পীর সবথেকে বড় পাওনা। যখন কাজ শেষ হয় তখন যিনি প্রথম প্রশংসা করেন তিনি হলেন পরিচালক। তারপর দর্শক প্রশংসা করেন। কোন পরিচালক যখন আমার ওপর ভরসা করেন, আমার জন্য চরিত্র ভাবেন তখন ভীষণ ভালো লাগে আমার। ব্যাপারাটা ভালো কাজ করতে আমাকে প্রচুর উৎসাহ দেয়। সেই সঙ্গে একটা দায়বদ্ধতাও কাজ করে। সেটা হলো–যে করেই হোক আমাকে চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুঁটিয়ে তুলতে হবে। যেন পরিচালকের আস্থার প্রতিদান দিতে পারি।

অরিন্দম শীল, কমলেশ্বর মুখার্জী, অঞ্জন দত্ত— তিনজন বাঘা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। আবার তেলেগু ছবিতেও অভিনয় করেছেন। আপনি তো ছুটে চলেছেন রেসের ঘোড়ার মতো। সামনের লক্ষ্য কি?
ভালো ভালো কাজ করে যাওয়া আমার লক্ষ্য। আমি মনে করি, প্রত্যেক শিল্পীরই এরকম লক্ষ্য থাকে। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। আমি দুই দেশের সব মানুষের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাই তাদের কাছে।

বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছার কথা বললেন। কোন প্রস্তাব কি পেয়েছেন এরমধ্যে?
কয়েকটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। তারমধ্যে থেকে একটির কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। চূড়ান্ত না হওয়া অব্দি কিছু বলতে পারছি না। দেখা যাক কি হয়!

বাংলাদেশের ছবি সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন?
বাংলাদেশকে আমি আলাদা করে ধরতে চাই না। আমি বাংলা ছবি সম্পর্কে আমার ধারণা কথা বলতে চাই। বাংলায় অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। ‘ডুব’ নামে একটি ছবি অস্কারে অংশ নিলো। সেটার খবর জেনেছি। আরও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে, সেসব ছবির খবর রাখি। কারণ, আমি বাংলা ছবি ভালোবাসি।

আর হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশের দর্শকদের নিয়ে একটি কথা বলবো। পশ্চিমবঙ্গের দর্শকের চেয়ে বাংলাদেশের দর্শক সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলাদেশের দর্শক অনেক বেশি ক্রেজি আর লাভিং।

ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন আপনি। ভারতে ওয়েব সিরিজগুলোতে যৌনতার ছড়াছড়ি দেখা যায়। আপনার কাছে কি মনে হয়, এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে? সেন্সর করা উচিত?

সত্যি বলতে, এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। আই ক্যাচার হিসেবে এই মাধ্যমটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সেন্সরশীপ নিয়ে আমি কথা বলব না। কারণ, আমি এটাকে সাপোর্ট করি না। শিল্পের ক্ষেত্রে সেন্সর কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু যদি আমি প্র্যাকটিক্যালি দেখি তাহলে তো বলাই যায়, ইন্ডিয়াতে সেন্সরশীপ কাজ করে। তবে যেভাবে কিছু কিছু ওয়েব চ্যানেল সেক্সুয়ালিটি দেখাচ্ছে বা পাশবিক সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কাজ করছে, তাতে যেকোন সময় সেন্সরবোর্ড হস্তক্ষেপ করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বোল্ড ফটোশুট তো পুরুষের বুকে কাঁপন তুলে দেয়। এক সাক্ষাৎকারে আপনি আপনার শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথাও বলেছিলেন। শরীর নাকি অভিনয়— কোনটার গুণে দর্শনা দর্শকের কাছাকাছি পৌঁছাতে চায়?
(হাসি) অবশ্যই অভিনয় দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে যায়। শরীর যদি দর্শকের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারতো, তাহলে এমন অনেক আছেন যারা জনপ্রিয় হয়ে যেতে পারতেন। শরীর দিয়ে সবকিছু হয়ে গেলে আজ টাইগার শ্রফ আর নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মধ্যে পার্থক্যটা থাকতো না। তাহলে মানুষ টাইগার শ্রফের সিনেমা দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতো। নওয়াজকে লোকের ভালো লাগতো না। ইরফান, রাজ কুমার রাওকে ভালো লাগতো না। অভিনেত্রীদের কথা এখানে নাইবা বললাম।