ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




কে আসছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ রিপোর্টঃ 

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কাজ সম্পূর্ণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মহানগরের সম্মেলন ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দিন যতই এগিয়ে আসছে নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে আনন্দ-উল্লাস, তোড়জোড় লবিং-তদবির। সন্ধ্যা হলেই শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিড় জমান পদপ্রত্যাশীরা। আবার কেউ কেউ নেতাদের বাসায়ও ভিড় জমাচ্ছেন। আড্ডা দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। তবে অনেককে দেখা না গেলেও ঠিকই পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবার ত্যাগীদের প্রাধান্য দেয়া হবে, বিতর্কিত কাউকেই আগামী সম্মেলনে জায়গা দেয়া হবে না এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
২০১২ সালে ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান মোল্লা আবু কাওছার আর সাধারণ সম্পাদক হন পঙ্কজ দেবনাথ। কাক্ষিত পদ পেতে এরই মধ্যে নিজেদের মেলে ধরতে নেতাকর্মীদের কাছে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াইয়ে অন্তত এক ডজনেরও বেশি নেতা পদপ্রত্যাশা করছেন। তারা নিজেরাও চান সংগঠনের নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব যে-ই পান, তিনি যেন স্বচ্ছ ভাবমুর্তি আর সাংগঠনিক দক্ষ হন। বর্তমান সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি এবং ক্যাসিনো অভিযানে কিছুটা বিতর্কের মাঝে পড়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ পরপর দুই বার একই দায়িত্ব পালন করছেন। তাই নেতাকর্মীদের ধারণা শীর্ষ দুই পদেই এবার পরিবর্তন আসবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য মতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব করার মাধ্যমে নির্মল রঞ্জন গুহকে সভাপতি ও গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এবার শীর্ষ দুটি পদে আলোচনায় আছেন তারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ, সহ-সভাপতি মঈন উদ্দীন মঈন, আফজালুর রহমান বাবু। এর মাঝে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ সভাপতি পদে এগিয়ে রয়েছে। নির্মল রঞ্জন গুহ ‘৯০ এর ছাত্র আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। ১/১১তে জননেত্রী মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি। তিনি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও নির্মল রঞ্জন গুহ দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এগিয়ে। সাচ্চু ১৯৮২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৫ সাল থেকেই পালন করেছেন বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব। যার মাঝে রয়েছে, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট থানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহবায়ক, বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগ দু’বারে সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ(উত্তর) , কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দু’বারের সহ সভাপতি, দুই দফা দায়িত্ব পালন করেছেন ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় উপকমিটির। এছাড়াও কয়েক দফায় দায়িত্ব পালন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর সাথে থেকেছেন। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে কলকাতা Peraless Hospital ৪৫ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেণ। এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডে স্প্রিন্টার। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বার বার গ্রেফতার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দীর্ঘদিন যাবৎ কারাবরণ এবং অসংখ্য মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছিলেন তিনি। ১/১১ পরবর্তী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকা ১৫ আসনে গ্রার্থীদের মাঝে অন্যতম প্রধান প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনীতি করার কারণে সারা দেশ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য একনিষ্ট কর্মী বাহিনী। বারবার কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের সাথেও রয়েছে নিবিড় যোগাযোগ। সাংগঠনিক দক্ষতায়ও যে কার চেয়ে এগিয়ে গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু। সাচ্চু’র সততায় নিয়েও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সৎ, ত্যাগী, কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে তাই সবার থেকে এগিয়ে গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
দুই শীর্ষ পদে আরো আলোচনায় আছেন কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তাদের তিন জনই স্বেচ্ছাসেবক লীগ বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তারা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা। যদিও এই তিনজনই অন্য প্রার্থীদের তুলনায় বয়সে খুবই নবীন এবং এ যাবৎকালে বড় পরিসরে কোন গুরু দায়িত্ব পালন করেননি।

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে আলোচনা রয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি একাধিক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়াও এই পদে পদ প্রত্যাশী সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক।

উত্তরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান ইরান। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।সাধারণ সম্পাদক পদে তাই এগিয়ে রয়েছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনা রয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আফরোজ হাবিব, হাবিবুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এমএ লতিফ।
ঢাকা মহানগর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কে আসছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে?

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

সকালের সংবাদ রিপোর্টঃ 

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন আগামী ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের কাজ সম্পূর্ণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মহানগরের সম্মেলন ১১ ও ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দিন যতই এগিয়ে আসছে নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে আনন্দ-উল্লাস, তোড়জোড় লবিং-তদবির। সন্ধ্যা হলেই শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিড় জমান পদপ্রত্যাশীরা। আবার কেউ কেউ নেতাদের বাসায়ও ভিড় জমাচ্ছেন। আড্ডা দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। তবে অনেককে দেখা না গেলেও ঠিকই পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবার ত্যাগীদের প্রাধান্য দেয়া হবে, বিতর্কিত কাউকেই আগামী সম্মেলনে জায়গা দেয়া হবে না এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
২০১২ সালে ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান মোল্লা আবু কাওছার আর সাধারণ সম্পাদক হন পঙ্কজ দেবনাথ। কাক্ষিত পদ পেতে এরই মধ্যে নিজেদের মেলে ধরতে নেতাকর্মীদের কাছে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াইয়ে অন্তত এক ডজনেরও বেশি নেতা পদপ্রত্যাশা করছেন। তারা নিজেরাও চান সংগঠনের নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব যে-ই পান, তিনি যেন স্বচ্ছ ভাবমুর্তি আর সাংগঠনিক দক্ষ হন। বর্তমান সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি এবং ক্যাসিনো অভিযানে কিছুটা বিতর্কের মাঝে পড়েছেন এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ পরপর দুই বার একই দায়িত্ব পালন করছেন। তাই নেতাকর্মীদের ধারণা শীর্ষ দুই পদেই এবার পরিবর্তন আসবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য মতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব করার মাধ্যমে নির্মল রঞ্জন গুহকে সভাপতি ও গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে সাধারণ সম্পাদক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এবার শীর্ষ দুটি পদে আলোচনায় আছেন তারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ, সহ-সভাপতি মঈন উদ্দীন মঈন, আফজালুর রহমান বাবু। এর মাঝে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ সভাপতি পদে এগিয়ে রয়েছে। নির্মল রঞ্জন গুহ ‘৯০ এর ছাত্র আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। ১/১১তে জননেত্রী মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি। তিনি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও নির্মল রঞ্জন গুহ দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এগিয়ে। সাচ্চু ১৯৮২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৮৫ সাল থেকেই পালন করেছেন বিভিন্ন গুরু দায়িত্ব। যার মাঝে রয়েছে, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট থানা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহবায়ক, বৃহত্তর ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগ দু’বারে সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ(উত্তর) , কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দু’বারের সহ সভাপতি, দুই দফা দায়িত্ব পালন করেছেন ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় উপকমিটির। এছাড়াও কয়েক দফায় দায়িত্ব পালন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর সাথে থেকেছেন। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে কলকাতা Peraless Hospital ৪৫ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেণ। এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডে স্প্রিন্টার। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বার বার গ্রেফতার ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দীর্ঘদিন যাবৎ কারাবরণ এবং অসংখ্য মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছিলেন তিনি। ১/১১ পরবর্তী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকা ১৫ আসনে গ্রার্থীদের মাঝে অন্যতম প্রধান প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনীতি করার কারণে সারা দেশ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য একনিষ্ট কর্মী বাহিনী। বারবার কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের সাথেও রয়েছে নিবিড় যোগাযোগ। সাংগঠনিক দক্ষতায়ও যে কার চেয়ে এগিয়ে গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু। সাচ্চু’র সততায় নিয়েও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সৎ, ত্যাগী, কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে তাই সবার থেকে এগিয়ে গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
দুই শীর্ষ পদে আরো আলোচনায় আছেন কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তাদের তিন জনই স্বেচ্ছাসেবক লীগ বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তারা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা। যদিও এই তিনজনই অন্য প্রার্থীদের তুলনায় বয়সে খুবই নবীন এবং এ যাবৎকালে বড় পরিসরে কোন গুরু দায়িত্ব পালন করেননি।

ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে আলোচনা রয়েছেন বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী। তিনি একাধিক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়াও এই পদে পদ প্রত্যাশী সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক।

উত্তরের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদুর রহমান ইরান। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।সাধারণ সম্পাদক পদে তাই এগিয়ে রয়েছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনা রয়েছেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আফরোজ হাবিব, হাবিবুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এমএ লতিফ।
ঢাকা মহানগর