ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণেই পুলিশের ওপর হামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, নব্য জেএমবির প্রধান টার্গেট পুলিশ। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর (বিশেষ করে আইএস) দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করেছিল।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক নব্য জেএমবির দুই সদস্য মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আব্দুল্লাহ আজমিরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি দল বিশেষ অভিযানে নব্য জেএমবির এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে জঙ্গিকার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তাদের প্রধান লক্ষ্য পুলিশ। তাই বিভিন্ন সময় হামলার জন্য তারা পুলিশবক্সকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে। প্রতিটি হামলার আগে টার্গেটকৃত স্থানে বারবার রেকি করে তারা।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের ওপর তাদের হামলার কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যার মধ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ছিল আইএস। তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। তবে এখন আইএসের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার এ দুই সদস্য জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোলার একটি দুর্গমচরে সামরিক প্রশিক্ষণ নেয় তারা। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। হামলার লক্ষ্যে তারা ফতুল্লায় রফিকের বাসায় একটি কারখানায় বোমা তৈরি করে আসছিল। তাদের তৈরি বোমা দিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট মালিবাগে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।

এছাড়া সায়েন্সল্যাব, মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমাও তাদের হাতেই তৈরি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণেই পুলিশের ওপর হামলা

আপডেট সময় : ০২:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, নব্য জেএমবির প্রধান টার্গেট পুলিশ। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর (বিশেষ করে আইএস) দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হামলার টার্গেট করেছিল।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক নব্য জেএমবির দুই সদস্য মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আব্দুল্লাহ আজমিরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানান তিনি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির একটি দল বিশেষ অভিযানে নব্য জেএমবির এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে জঙ্গিকার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তাদের প্রধান লক্ষ্য পুলিশ। তাই বিভিন্ন সময় হামলার জন্য তারা পুলিশবক্সকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে। প্রতিটি হামলার আগে টার্গেটকৃত স্থানে বারবার রেকি করে তারা।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের ওপর তাদের হামলার কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যার মধ্যে তাদের প্রথম পছন্দ ছিল আইএস। তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। তবে এখন আইএসের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার এ দুই সদস্য জানিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তারা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোলার একটি দুর্গমচরে সামরিক প্রশিক্ষণ নেয় তারা। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়। হামলার লক্ষ্যে তারা ফতুল্লায় রফিকের বাসায় একটি কারখানায় বোমা তৈরি করে আসছিল। তাদের তৈরি বোমা দিয়ে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট মালিবাগে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।

এছাড়া সায়েন্সল্যাব, মালিবাগ, পল্টন ও খামারবাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমাও তাদের হাতেই তৈরি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।