ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত কাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনায় বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। প্রতিবেদনে ভিসিকে প্রত্যাহারসহ তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রোববার সন্ধ্যায় জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দাফতরিক কাজে ঢাকার বাইরে আছি। এ কারণে এখনো আমরা ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে পারিনি। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখেছি, তবে সংবাদপত্রের নিউজের ভিত্তিতে তো আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না, তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রতিবেদনের হার্ড কপি পেতে হবে। তারপর কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদন পেলে শিক্ষামন্ত্রীসহ ইউজিসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রতিবেদনে যে সব সুপারিশ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করে ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দুর্নীতি-অনিয়ম করা কোনো ব্যক্তিকে আমরা ছাড় দেব না। অন্যায় যেই করুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে বশেমুরবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ তদন্তে ইউজিসিকে নির্দেশ দিলে সংস্থাটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি আজ রোববার প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে ভিসিকে প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ মোট তিনটি সুপারিশ করা হয়।

পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্ব দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য দিল অধ্যাপক আফরোজা বেগম, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হুসেন, ইউজিসির পরিচালক কামাল হোসেন ও উপপরিচালক মৌলি আজাদ।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘দু’দিন ধরে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আমরা একটা বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দিয়েছি।’ তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

সূত্রে জানা যায়, ১১ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনসহ শতাধিক পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ভিসি (খোন্দকার নাসির উদ্দিন)। তিনি নানা অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে তিনি দায়িত্বহীন আচরণ করেছেন। এছাড়া তিনি অদূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন।

ভিসির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তদন্ত কমিটি অভিযোগ আনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তিনি চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে অভিযোগ এনেছেন বলে কমিটির কাছে উল্লেখ করেছেন। তবু অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে ডিএনএ টেস্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত কাল

আপডেট সময় : ১০:৫৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে পর্যালোচনায় বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। প্রতিবেদনে ভিসিকে প্রত্যাহারসহ তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।

ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রোববার সন্ধ্যায় জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দাফতরিক কাজে ঢাকার বাইরে আছি। এ কারণে এখনো আমরা ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে পারিনি। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখেছি, তবে সংবাদপত্রের নিউজের ভিত্তিতে তো আর কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় না, তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রতিবেদনের হার্ড কপি পেতে হবে। তারপর কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেদন পেলে শিক্ষামন্ত্রীসহ ইউজিসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রতিবেদনে যে সব সুপারিশ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করে ভিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে দুর্নীতি-অনিয়ম করা কোনো ব্যক্তিকে আমরা ছাড় দেব না। অন্যায় যেই করুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে বশেমুরবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ তদন্তে ইউজিসিকে নির্দেশ দিলে সংস্থাটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি আজ রোববার প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে ভিসিকে প্রত্যাহার এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ মোট তিনটি সুপারিশ করা হয়।

পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্ব দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য দিল অধ্যাপক আফরোজা বেগম, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হুসেন, ইউজিসির পরিচালক কামাল হোসেন ও উপপরিচালক মৌলি আজাদ।

এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, ‘দু’দিন ধরে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আমরা একটা বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দিয়েছি।’ তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত বিষয়বস্তু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

সূত্রে জানা যায়, ১১ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনসহ শতাধিক পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ভিসি (খোন্দকার নাসির উদ্দিন)। তিনি নানা অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে তিনি দায়িত্বহীন আচরণ করেছেন। এছাড়া তিনি অদূরদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন।

ভিসির বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তদন্ত কমিটি অভিযোগ আনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তিনি চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে অভিযোগ এনেছেন বলে কমিটির কাছে উল্লেখ করেছেন। তবু অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে ডিএনএ টেস্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।