ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বিএনপির আয় বেড়েছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯ ৭০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২০১৮ সালে বিএনপির আয় কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যয় কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে দেয়া বার্ষিক হিসাবে এমনটাই দাবি করেছে দলটি।

ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়া শেষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের জানান, এবার দলের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এখন পর্যন্ত দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।

তিনি জানান, নমিনেশন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন অনুদান হতে মোট আয় হয়েছে। আর অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার পার্টি, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনি ব্যয় বাবদ এবং নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা করা এবং বন্যায় ত্রাণ কাজে মোট ব্যয় হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে আমাদের সর্বাধিক আয় হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত অনুদান আছে, সদস্য এবং পদবিধারী অন্যদের চাঁদা আছে। সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার আয় একটু বেশি হয়েছে।

গতবার ২০১৭ সালের হিসাবে দেখিয়েছে, মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।

২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিএনপির ২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের থেকে ব্যয় বেশি ছিল। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। কেননা, দলটি এর আগের বছর আয় দেখিয়েছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।

২০১৪ সালের (পঞ্জিকা বছর) দলটি বিভিন্ন খাতে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।

২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। সেসময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিএনপির আয় বেড়েছে 

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২০১৮ সালে বিএনপির আয় কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যয় কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে দেয়া বার্ষিক হিসাবে এমনটাই দাবি করেছে দলটি।

ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়া শেষে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের জানান, এবার দলের আয় হয়েছে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ২৯ হাজার ১৪৩ টাকা। এখন পর্যন্ত দলীয় তহবিলে মোট উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৩৭ টাকা।

তিনি জানান, নমিনেশন ফরম বিক্রি, দলীয় সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন অনুদান হতে মোট আয় হয়েছে। আর অফিসের বিভিন্ন খরচ, ইফতার পার্টি, পোস্টার ছাপানো, নির্বাচনি ব্যয় বাবদ এবং নির্যাতিত নেতাদের সহায়তা করা এবং বন্যায় ত্রাণ কাজে মোট ব্যয় হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি থেকে আমাদের সর্বাধিক আয় হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত অনুদান আছে, সদস্য এবং পদবিধারী অন্যদের চাঁদা আছে। সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার আয় একটু বেশি হয়েছে।

গতবার ২০১৭ সালের হিসাবে দেখিয়েছে, মোট আয় ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে।

২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিএনপির ২০১৫ সালের দাখিল করা আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত তিন পঞ্জিকা বছরে দলটির আয়ের থেকে ব্যয় বেশি ছিল। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতিতে ছিল। কেননা, দলটি এর আগের বছর আয় দেখিয়েছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা।

২০১৪ সালের (পঞ্জিকা বছর) দলটি বিভিন্ন খাতে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা আয় দেখিয়েছে। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। এতে আয়ের চেয়ে ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬ টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে দলটির।

২০১৩ সালে (পঞ্জিকা বছর) দলটি ৭৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টাকা আয়ের বিপরীতে ২ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। সেসময় ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা।