ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ক্রেডিট কার্ডে লাখ লাখ ঋণের কারনে বাবা মেয়ে আত্মহত্যা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার ছিল না। কিন্তু ব্যাংক থেকে চাপ আসতো প্রতিদিন। তাই দিল্লির ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে ছিল তার মেয়ে।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে ছাদ তেকে লাফ দিতে দেখে সুরেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী মনজিৎ কৌরও লাফ দেন। তবে ঘটনাক্রমে মা-মেয়ে বেঁচে গেছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি বলছে, সুরেশ কুমার ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দিল্লির জগতপুরি নামক এলাকায়। গত সোমবার রাত ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান সুরেশ। তারপর দুহাতে মেয়েকে জড়িয়ে সেখান থেকে লাফ দেয়।

সুরেশ যখন মেয়েকে নিয়ে ছাদে যাচ্ছিল তার ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী মনজিত কৌর তাকে অনুসরণ করে ছাদে উঠে যান। কিন্তু ছাদে ওঠার পরপরই মেয়ে সঙ্গে স্বামীকে লাফ দিতে দেখে তিনিও ছাদ থেকে লাফ দেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও মনজিত ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে গেছেন।

পুলিশের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে মৃত সুরেশ কুমারের স্ত্রী মনজিত কৌর বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্বামীর বেশে কিছু ক্রেডিট কার্ড ছিল। ওসব কার্ডে তার ৮ লাখ রুপি ঋণ ছিল। অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসতো। কিন্তু তা পরিশোধের সামর্থ ছিল না তার স্বামীর।

পাশের বাড়ির মানুষজন মাটিতে রক্তাক্ত তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা সুরেশকে মৃত ঘোষণা করে। মা-মেয়ের চিকিৎসা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ক্রেডিট কার্ডে লাখ লাখ ঋণের কারনে বাবা মেয়ে আত্মহত্যা!

আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক; 
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার ছিল না। কিন্তু ব্যাংক থেকে চাপ আসতো প্রতিদিন। তাই দিল্লির ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে ছিল তার মেয়ে।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেয়ে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে ছাদ তেকে লাফ দিতে দেখে সুরেশ কুমার নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী মনজিৎ কৌরও লাফ দেন। তবে ঘটনাক্রমে মা-মেয়ে বেঁচে গেছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি বলছে, সুরেশ কুমার ওই ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন দিল্লির জগতপুরি নামক এলাকায়। গত সোমবার রাত ৩টার দিকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান সুরেশ। তারপর দুহাতে মেয়েকে জড়িয়ে সেখান থেকে লাফ দেয়।

সুরেশ যখন মেয়েকে নিয়ে ছাদে যাচ্ছিল তার ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী মনজিত কৌর তাকে অনুসরণ করে ছাদে উঠে যান। কিন্তু ছাদে ওঠার পরপরই মেয়ে সঙ্গে স্বামীকে লাফ দিতে দেখে তিনিও ছাদ থেকে লাফ দেন। তবে স্বামীর মৃত্যু হলেও মনজিত ও তার চার বছর বয়সী মেয়ে বেঁচে গেছেন।

পুলিশের কাছে দেয়া এক জবানবন্দিতে মৃত সুরেশ কুমারের স্ত্রী মনজিত কৌর বলেছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্বামীর বেশে কিছু ক্রেডিট কার্ড ছিল। ওসব কার্ডে তার ৮ লাখ রুপি ঋণ ছিল। অর্থ পরিশোধের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফোন কিংবা ম্যাসেজ আসতো। কিন্তু তা পরিশোধের সামর্থ ছিল না তার স্বামীর।

পাশের বাড়ির মানুষজন মাটিতে রক্তাক্ত তিনটি দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অচেতন দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা সুরেশকে মৃত ঘোষণা করে। মা-মেয়ের চিকিৎসা চলছে।