ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | 

‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে হত্যার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে মনে করে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির এমন পরিস্থিতিতে গুজব রোধে সারা দেশের পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার এই চিঠি দেওয়া হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-অপারেশনস) সাঈদ তারিকুল হাসান সারা দেশের পুলিশের ইউনিটকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ছেলেধরার গুজব বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ব্লগগুলো নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ছেলেধরাসংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলে বা শেয়ার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কোন ইউনিট কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরে জানাতেও বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা ফৌজদারি অপরাধ।

মোট চারটি বিষয়ে উল্লেখ করে ছেলেধরার গুজব ও গণপিটুনি রোধে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

চিঠিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দেওয়া হয়।

ছুটির পর অভিভাবকেরা যাতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যান, সে বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, প্রতিটি স্কুলের ক্যাম্পাসের সামনে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের বস্তিতে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গুজব বন্ধে জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গুজববিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি, এলাকায় মাইকিং-লিফলেট বিতরণ, মসজিদের ইমামদের সঙ্গে ছেলেধরা গুজববিরোধী আলোচনা।

সম্প্রতি গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সদর দপ্তর গত শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। দ্রুতই জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি

আপডেট সময় : ০৭:২৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক | 

‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে হত্যার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে মনে করে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপিটুনির এমন পরিস্থিতিতে গুজব রোধে সারা দেশের পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার এই চিঠি দেওয়া হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-অপারেশনস) সাঈদ তারিকুল হাসান সারা দেশের পুলিশের ইউনিটকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ছেলেধরার গুজব বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ব্লগগুলো নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ছেলেধরাসংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিলে বা শেয়ার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের কোন ইউনিট কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরে জানাতেও বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা ফৌজদারি অপরাধ।

মোট চারটি বিষয়ে উল্লেখ করে ছেলেধরার গুজব ও গণপিটুনি রোধে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

চিঠিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে সচেতনতা বাড়ানোরও তাগিদ দেওয়া হয়।

ছুটির পর অভিভাবকেরা যাতে শিক্ষার্থীকে নিয়ে যান, সে বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা, প্রতিটি স্কুলের ক্যাম্পাসের সামনে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের বস্তিতে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গুজব বন্ধে জনসম্পৃক্ততামূলক কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গুজববিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি, এলাকায় মাইকিং-লিফলেট বিতরণ, মসজিদের ইমামদের সঙ্গে ছেলেধরা গুজববিরোধী আলোচনা।

সম্প্রতি গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সদর দপ্তর গত শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। দ্রুতই জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।