ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ওই নারীর অভিযোগ সঠিক নয় : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

কূটনৈতিক প্রতিবেদকঃ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক বলে মনে করেন না ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিঞ্ঝুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার অফিসে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এরপর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।

হোয়াইট হাউজের ওয়েব সাইটের বিবৃতিতে বাংলাদেশি ওই নারীকে মিসেস সাহা পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ওই নারীর নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।

ওই নারীর এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। আমার প্রথম আট মাসের দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম-পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি এসেছি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে, আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে, এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের লোকজন একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। তাই আমি মনে করি, তার অভিযোগ সঠিক নয়, বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। যদিও কোনো দেশই সংখ্যালঘুদের অধিকার দিতে সফলতা পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলের প্রধান ইস্যুগুলো কী, তা যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই জানে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীর বক্তব্য শোনার পর একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীলতার স্বরূপ তার সঙ্গে হাত মেলান। কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।

ওই ঘটনার পর স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম নিজ ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোনো অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।’

‘তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। তার অভিযোগগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।

তিনি আরও লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।’

‘প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয়। যেমনটি নয় প্রিয়া সাহার করা অভিযোগ। সমাজের সকল স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে যার যোগাযোগ তার একই রকম আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা’- উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়;

বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া ওই নারীর এমন বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমেও ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ওই নারী এমন বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অনেকেই বলছেন, এমন মিথ্যা কথা তিনি কীভাবে বললেন। সামাজিক মাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটা দেখি ঘষেটি বেগম। অপর একজন লিখেছেন, এটা কাদের চাল হতে পারে বুঝলাম না।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার চোখে কি দেখলাম আর কি শুনলাম। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। মানুষ এতটা অকৃতজ্ঞ, বেইমান, রাজাকার, নিকৃষ্ট আর দেশদ্রোহী কেমনে হয়? আমাদের দেশে কোন দিন শুনি নাই জোর করে কাউকে কালেমা বা গরুর গোস্তো খাওয়াতে। মুসলমানদের কাছে অমুসলিমরা যতটা শান্তিতে আছে সেটা অমুসলিম দেশেও নাই। ইন্ডিয়া একটা হিন্দু দেশ সেখানেও দলিত হিন্দুদের পিটায়া মারে, মন্দিরে ঢুকতে দেয় না। সাইকেল পর্যন্ত চালাতে পারে না। এরা আমাদের দেশকে নিয়া কি ষড়যন্ত্র করে?’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ওই নারীর অভিযোগ সঠিক নয় : মার্কিন রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ১১:০১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

কূটনৈতিক প্রতিবেদকঃ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক বলে মনে করেন না ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিঞ্ঝুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার অফিসে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এরপর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।

হোয়াইট হাউজের ওয়েব সাইটের বিবৃতিতে বাংলাদেশি ওই নারীকে মিসেস সাহা পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ওই নারীর নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।

ওই নারীর এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। আমার প্রথম আট মাসের দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম-পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি এসেছি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে, আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে, এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের লোকজন একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। তাই আমি মনে করি, তার অভিযোগ সঠিক নয়, বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। যদিও কোনো দেশই সংখ্যালঘুদের অধিকার দিতে সফলতা পায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলের প্রধান ইস্যুগুলো কী, তা যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই জানে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীর বক্তব্য শোনার পর একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীলতার স্বরূপ তার সঙ্গে হাত মেলান। কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।

ওই ঘটনার পর স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম নিজ ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে পৃথিবীর সব দেশের এবং বাংলাদেশ ও বাইরের দেশের এনজিওদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যেখানে শ্রদ্ধেয় রানা দাশ গুপ্তর মতো মানুষেরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দেয়া প্রিয়া সাহার অভিযোগের মতো কোনো অভিযোগ বা প্রশ্ন কাউকে করতে দেখিনি।’

‘তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি কেন এটা করলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। তার অভিযোগগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে।

তিনি আরও লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।’

‘প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমালোচনা করছেন। এটাও ঠিক নয়। যেমনটি নয় প্রিয়া সাহার করা অভিযোগ। সমাজের সকল স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে যার যোগাযোগ তার একই রকম আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে এটার ক্ষতি করে ফেলেন। সবার উচিত এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা’- উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়;

বাংলাদেশি পরিচয় দেয়া ওই নারীর এমন বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমেও ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ওই নারী এমন বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অনেকেই বলছেন, এমন মিথ্যা কথা তিনি কীভাবে বললেন। সামাজিক মাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটা দেখি ঘষেটি বেগম। অপর একজন লিখেছেন, এটা কাদের চাল হতে পারে বুঝলাম না।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার চোখে কি দেখলাম আর কি শুনলাম। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। মানুষ এতটা অকৃতজ্ঞ, বেইমান, রাজাকার, নিকৃষ্ট আর দেশদ্রোহী কেমনে হয়? আমাদের দেশে কোন দিন শুনি নাই জোর করে কাউকে কালেমা বা গরুর গোস্তো খাওয়াতে। মুসলমানদের কাছে অমুসলিমরা যতটা শান্তিতে আছে সেটা অমুসলিম দেশেও নাই। ইন্ডিয়া একটা হিন্দু দেশ সেখানেও দলিত হিন্দুদের পিটায়া মারে, মন্দিরে ঢুকতে দেয় না। সাইকেল পর্যন্ত চালাতে পারে না। এরা আমাদের দেশকে নিয়া কি ষড়যন্ত্র করে?’