ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




লজ্জিত শামীম ওসমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯ ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
সংসদে নিজের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ শামীম ওসমান। আজ রোববার তিনি সংসদে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা রাস্তা দখল করে চাঁদাবাজি করছে। এতে করে সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এলাকার সাংসদ হিসেবে তিনি কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সে জন্য তিনি লজ্জিত।

‘নিজের আত্মাকে শান্তি দেওয়ার জন্য’ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সরকার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করছে। প্রায় চার সাড়ে চার বছর আগে এর দরপত্র হয়েছে। বর্তমানের গণপূর্তমন্ত্রীর আগের মন্ত্রীর সময়ে ওখানে একটি খেলার মাঠ রাখার জন্য দাবি উঠেছিল। আমি সংসদে এবং সংসদের বাইরে মন্ত্রী মহোদয়কে খেলার মাঠটি রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। মন্ত্রিসভা আমার অনুরোধ রেখেছেন এবং এই মাঠের জন্য ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

শামীম ওসমান বলেন, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকার সময় ওখানে বিআইডব্লিউটিএ একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা সেই ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলেছে। তারা সেখানে মাল লোড-আনলোড করছে ও চাঁদা নিচ্ছে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ার পরও সেখান প্রায় তিন বছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীর জন্য ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ করতে পারছে না।

শামীম ওসমান প্রশ্ন তুলে বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত কতটা বড়? তাদের হাত কতটা বড়? ওখানে প্রতিদিন শ্রমিকের নামে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। যে কোম্পানি কাজটি পেয়েছে তারা কাজ করতে পারছে না। জিডি করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় মামলা করেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়? ওই এলাকার সাংসদ হিসেবে আমি কিছুই করতে পারছি না। সে জন্য আমি লজ্জিত। কথাটা আমি এই জন্য বললাম যে, নিজের আত্মাটাকে আমি শান্তি দিলাম।

স্পিকারের মাধ্যমে গণপূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণপূর্তমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লজ্জিত শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৮:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
সংসদে নিজের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ শামীম ওসমান। আজ রোববার তিনি সংসদে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা রাস্তা দখল করে চাঁদাবাজি করছে। এতে করে সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এলাকার সাংসদ হিসেবে তিনি কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সে জন্য তিনি লজ্জিত।

‘নিজের আত্মাকে শান্তি দেওয়ার জন্য’ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সরকার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করছে। প্রায় চার সাড়ে চার বছর আগে এর দরপত্র হয়েছে। বর্তমানের গণপূর্তমন্ত্রীর আগের মন্ত্রীর সময়ে ওখানে একটি খেলার মাঠ রাখার জন্য দাবি উঠেছিল। আমি সংসদে এবং সংসদের বাইরে মন্ত্রী মহোদয়কে খেলার মাঠটি রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। মন্ত্রিসভা আমার অনুরোধ রেখেছেন এবং এই মাঠের জন্য ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

শামীম ওসমান বলেন, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকার সময় ওখানে বিআইডব্লিউটিএ একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা সেই ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলেছে। তারা সেখানে মাল লোড-আনলোড করছে ও চাঁদা নিচ্ছে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ার পরও সেখান প্রায় তিন বছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীর জন্য ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ করতে পারছে না।

শামীম ওসমান প্রশ্ন তুলে বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত কতটা বড়? তাদের হাত কতটা বড়? ওখানে প্রতিদিন শ্রমিকের নামে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। যে কোম্পানি কাজটি পেয়েছে তারা কাজ করতে পারছে না। জিডি করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় মামলা করেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়? ওই এলাকার সাংসদ হিসেবে আমি কিছুই করতে পারছি না। সে জন্য আমি লজ্জিত। কথাটা আমি এই জন্য বললাম যে, নিজের আত্মাটাকে আমি শান্তি দিলাম।

স্পিকারের মাধ্যমে গণপূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণপূর্তমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।’